৩০-৪০ হাজারেই পাবেন IPhone-র লেটেস্ট মডেল?
Tariff War: চিন হাত গুটিয়ে থাকার পাত্র নয়। আমেরিকায় বাণিজ্য করা কঠিন হয়ে যেতেই জিনপিং মুখ ঘুরিয়েছে ইউরোপ ও এশিয়ার বাজারের দিকে। আমেরিকার পর ভারতই চিনের কাছে সবথেকে বড় বাজার।

নয়া দিল্লি: ট্রাম্পের ট্যারিফের গুঁতোয় বড় ক্ষতির মুখে চিন। আমেরিকায় বাণিজ্য প্রায় লাটে উঠতে চলেছে। চিনের পণ্যের উপরে ১৪৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক বসিয়েছে আমেরিকা। এর ফলে চিনা পণ্য কিনতে দ্বিগুণেরও বেশি দাম দিতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই এর প্রভাব পড়বে বিক্রিবাট্টায়। এদিকে, আমেরিকার এই ট্যারিফের খোঁচায় দুইদিক থেকেই লাভবান হতে চলেছে ভারত। একদিকে যেমন আমেরিকায় বাণিজ্যের দরজা খুলবে, তেমনই আবার সস্তায় চিনা পণ্যও পাবে ভারত। বিশেষ করে, ব্যাপক দাম কমতে পারে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের।
চিনে ইলেকট্রনিক্সের বিরাট বাজার। এর একটা বড় অংশই আমেরিকায় রফতানি করা হয়। অ্য়াপেল ব্যাপক জনপ্রিয় আমেরিকায়। তার উৎপাদনও চিন ও ভারতেই হয়। আমেরিকার এই ট্যারিফের কোপে চিনের রফতানি কঠিন হয়ে পড়েছে। এতে আমেরিকার বাজারে যেমন প্রভাব পড়বে, তেমনই আবার চিনের অর্থনীতিতেও প্রভাব পড়বে।
তবে চিন হাত গুটিয়ে থাকার পাত্র নয়। আমেরিকায় বাণিজ্য করা কঠিন হয়ে যেতেই জিনপিং মুখ ঘুরিয়েছে ইউরোপ ও এশিয়ার বাজারের দিকে। আমেরিকার পর ভারতই চিনের কাছে সবথেকে বড় বাজার। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে চিন ভারতে বাণিজ্য় করতে বিশেষ আগ্রহ দেখাচ্ছে। ক্রেতাদের আকর্ষিত করতে বিভিন্ন চিনা কোম্পানিগুলি ভারতে আরও বেশি করে ছাড় দিচ্ছে।
চিনের ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে যে ভারতীয় কোম্পানিগুলিকে রফতানির উপরে ৫ শতাংশ ছাড় দেবে। আমদানি-রফতানির এই পরিবর্তিত সমীকরণ বদল এবং চিনের দেওয়া বিশেষ ছাড়ের কারণে ভারতে ইলেকট্রনিক পণ্যের দাম কমতে পারে। বিশেষ করে রেফ্রিজারেটর ও স্মার্টফোনের দাম কমতে পারে।
ফ্রিজ, টিভি, স্মার্টফোনে চিনের তৈরি ইলেকট্রনিক চিপ ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ ব্যবহার হয়। চিন যদি ভারতের জন্য আরও ছাড় দেয়, তবে ফ্রিজ, স্মার্টফোনের দাম অনেকটাই কমতে পারে। আগামী মাস থেকেই দামের তারতম্য নজরে আসতে পারে।

