
নয়া দিল্লি: স্বপ্নের বাড়ি কেনার ইচ্ছা? নিজের পছন্দমতো, সুন্দরভাবে সাজানো একটা বাড়ি? তবে বাড়ি কেনার সময় সাধ্যের মধ্যে সাধপূরণ, সে এক ঝক্কির ব্যাপার। বিশেষ করে মহিলাদের জন্য। তবে বর্তমান যুগে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশে মহিলাদের স্বনির্ভরতার হার বাড়ছে। আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হয়ে উঠছেন মহিলারা। গত এক দশকের পরিসংখ্যান বলছে, ভারতীয় মহিলাদের গৃহ ঋণ নেওয়ার হারও অনেকটা বেড়েছে।
মহিলাদের গৃহঋণের জন্য আজকের দিনে বিভিন্ন সহায়ক নীতিও রয়েছে বিভিন্ন ঋণদানকারী সংস্থাগুলির। বিশেষ করে মহিলাদের জন্য গৃহ ঋণের বিভিন্ন আকর্ষণীয় স্কিম অফার করছে সংস্থাগুলি। সহজে ঋণে অনুমোদন থেকে শুরু করে সহজ কিস্তি, কম সুদের হার-সহ আরও বিভিন্ন অফার রয়েছে শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য।
১. কম সুদের হার – গৃহ ঋণের জন্য আবেদন করার সময় যে বিষয়গুলির উপর সবথেকে বেশি নজর রাখতে হয়, তার মধ্যে অন্যতম হল সুদের হার। কিস্তি মেটানোর সময় কী হারে সুদ গুণতে হবে, সেটা অবশ্যই পরখ করে নেওয়া দরকার। সুদের হার যত কম হয়, কিস্তি মেটানোর সময় তত সুবিধা। এক্ষেত্রে মহিলাদের আর্থিক স্বনির্ভরতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে, দুর্দান্ত অফার দেয় বিভিন্ন ঋণদানকারী সংস্থা। এমন অনেক ঋণদান সংস্থা রয়েছে, যারা মহিলাদের গৃহ ঋণের জন্য আকর্ষণীয় কম হারে সুদ নেয়। যা আপনার স্বপ্নের বাড়ি কেনার পথ আরও মসৃণ করে তোলে।
২. সহজে গৃহ ঋণ – গৃহ ঋণ দেওয়ার আগে ঋণদানকারী সংস্থাগুলি যাচাই করে নেয়, আদৌ আপনি সেই ঋণ মেটাতে পারবেন কি না। এক্ষেত্রে বেশ কিছু ফ্যাক্টর কাজ করে। যেমন আপনার ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স, আপনার আয়-সহ আরও বেশ কিছু ফ্যাক্টর রয়েছে। তবে মহিলাদের ক্ষেত্রে এই সব বিষয়গুলিতে অনেকটা নমনীয় ঋণদানকারী সংস্থাগুলি। সাধারণের ক্ষেত্রে গৃহ ঋণের ক্ষেত্রে যে সব নিয়ম রয়েছে, তার থেকে মহিলাদের জন্য নিয়ম অনেকটা শিথিল। ফলে মহিলাদের গৃহ ঋণ পাওয়া তুলনায় অনেকটা সহজ।
৩. করের সুবিধা – মহিলাদের জন্য গৃণ ঋণের ক্ষেত্রে করের আকর্ষণীয় সুবিধা রয়েছে। চাইলে কোনও মহিলা তাঁর স্বামীর সঙ্গে যৌথভাবে গৃহ ঋণের জন্য আবেদন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে দম্পতির উভয়েই আয়কর আইনের ৮০ সি ও ২৪ ধারায় কর ছাড়ের জন্য দাবি করতে পারেন। তাছাড়া দম্পতি যদি প্রথম বার বাড়ি কেনেন, তাহলে আরও বেশি কর ছাড়ের দাবি করার সুবিধা রয়েছে।
৪. আবাস যোজনায় সুবিধা – প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা হল কেন্দ্রীয় সরকারের একটি প্রকল্প। যেখানে যোগ্য দাবিদারদের বাড়ির জন্য আর্থিক সাহায্য করা হয়। এক্ষেত্রেও মহিলাদের জন্য বাড়তি সুবিধা রয়েছে। আবাস যোজনায় নাম নথিভুক্ত করার সময় পরিবারের অন্তত একজন মহিলার নাম থাকা সেক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক।
৫. স্ট্যাম্প করে ছাড়- বাড়ি কেনার পর সেটি নিজের নামে রেজিস্টার করার সময় একটি নির্দিষ্ট কর দিতে হয়। রাজ্য সরকার স্ট্যাম্প কর বাবদ এই টাকা নিয়ে থাকে। সেখানেও একটি মোটা টাকা খরচ হয়। তবে মহিলাদের ক্ষেত্রে এই স্ট্যাম্প করের ক্ষেত্রে অনেকটাই ছাড় দেওয়া হয়। মহিলাদের ক্ষেত্রে জায়গা বিশেষে ১-২ শতাংশ কম স্ট্যাম্প কর ধার্য করা হয়।