
অ্যাপেলের সহ প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জোবস। তাঁকে শুধুমাত্র একজন প্রযুক্তিবিদ ছিলেন, এমনটা নয়। বরং তাঁকে একজন দার্শনিক বললে হয়তো সঠিক বলা হবে। আজও তাঁর বলা কথাগুলো সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। ফোন বা কম্পিউটার তৈরির বাইরেও তিনি জীবন, ব্যর্থতা আর সাফল্য নিয়ে এমন কিছু ভাবনা রেখে গেছেন, যা যে কোনও মানুষের জন্যই এক বিরাট শিক্ষা।
মৃত্যুই নিয়তি
জোবসের মতে, জীবনের এগিয়ে যাওয়ার সবচেয়ে বড় শক্তি হল ‘আমি খুব তাড়াতাড়ি মারা যাব’, এমন এক ভাবনা। এই চিন্তা যে কোনও মানুষকে ভয়, লজ্জা আর দ্বিধা থেকে মুক্ত করে। ফলে মানুষ তখন শুধু সেই কাজটাই করবেন, যে কাজ করা সত্যিই জরুরি।
সেরা উদ্ভাবন হঠাৎই হয়
ইনোভেশন বা উদ্ভাবন মানে কোনও সুন্দর, সাজানো গোছানো ব্যাপার নয়। কিন্তু উদ্ভাবন হয় হঠাৎই। মাঝরাতে বন্ধুর সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় বা করিডোরে হাঁটতে হাঁটতে। তবে, এর জন্য হয়তো হাজার হাজার একাধিক জিনিসকে ‘না’ বলার সাহস রাখতে হয়।
ডিজাইন শুধু দেখতে সুন্দর নয়
ডিজাইন মানে পণ্যের ভেতরের আত্মা। অর্থাৎ, আইফোনের শুধু বাইরের চেহারাটাই ডিজাইন নয়। বরং কী রয়েছে তার ভিতরে, সেটাই আসল ডিজাইন। জোবসের কাছে ডিজাইন শুধু পর্দার কাপড়ের মতো বাইরের আবরণ নয়। এটি ছিল প্রযুক্তি এবং ব্যবহারকারীর মধ্যে মানসিক সংযোগ তৈরির মূল ভিত্তি।
বিশ্ব বদলানোর দরকার নেই
প্রযুক্তি তখনই গুরুত্বপূর্ণ যখন তা সাধারণ মানুষের জীবনে সামান্যতম সাহায্য করে। কোনও অসুস্থ মানুষ যদি প্রযুক্তির সাহায্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন, সেটাই তো আসল সাফল্য। সব সময় পৃথিবীকে বদলে দেওয়ার চাপ নেওয়ার দরকার নেই।
কাজের মধ্যে আবেগ জড়িয়ে রাখুন
ম্যাকিনটোশ কম্পিউটার তৈরির অভিজ্ঞতা নিয়ে জোবস বলেছিলেন, ‘আমরা এতটাই মন দিয়ে কাজটা করেছিলাম যে শেষে ওটা কাউকে দিতেই চাইছিলাম না’। যখন কোনও কাজ আপনি মন থেকে করেন, তার ফলাফল দর্শকদের উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দিতে বাধ্য করে।
তবে, এই ভাবনাগুলো শুধুমাত্র উদ্যোগপতি বা ব্যবসায়ীদের জন্য নয়। কোনও মানুষ যদি নিজের জীবনে বড় কিছু করতে চায়, তাহলে তার জন্য এই কথা মূল্যবান পাথেয়।