
সময় যত গড়াচ্ছে, আত্মনির্ভর হচ্ছে আমাদের দেশ। আর এবার রাশিয়া নির্ভরতা কমিয়ে দেশরক্ষায় বিরাট চাল ভারতের। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং HAL-এর মেগা প্ল্যান; দেশের প্রধান যুদ্ধবিমান Su-30MKI-এর ৭৮ শতাংশই হবে তৈরি হবে দেশেই।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই আপগ্রেড বিমানের খোলনলচে বদলে দেবে। বিমানের ‘চোখ’ বা রেডার হবে সম্পূর্ণ দেশি— ‘উত্তম’ AESA রেডার। যা অনেক দূর থেকে শত্রুকে চিনতে পারবে। এ ছাড়াও বিমানের ‘মস্তিষ্ক’ বা মিশন কম্পিউটারও অর্থাৎ অ্যাভিওনিক্স হবে ভারতীয়। ফলে যুদ্ধের সময় সফটওয়্যার হ্যাক হওয়ার ভয় নেই। আপনি জানলে গর্বিত হবেন, ভারত এখন ১ লক্ষের বেশি প্রতিরক্ষা যন্ত্রাংশ দেশেই তৈরি করছে। আমেরিকা ও চিনের পরেই এই তালিকায় ভারত এখন বিশ্বে তিন নম্বরে।
নতুন এই ‘চোখ’ ও ‘মস্তিস্ক’-এর গুণে সুখোই ৩০ হয়ে উঠবে ‘সুপার সুখোই’। আর নতুন এই ‘সুপার-সুখোই’ থেকে অনায়াসেই ছোঁড়া যাবে ১৬০ কিলোমিটার পাল্লার ‘অস্ত্র’ মিসাইল ও শক্তিশালী ‘ব্রাহ্মোস’ মিসাইল। ২৬০টিরও বেশি সুখোই আপগ্রেড করতে খরচ হবে কয়েক হাজার কোটি টাকা। কিন্তু সেই টাকা বিদেশ নয়, ঢুকবে টাটা অ্যাডভান্স সিস্টেম বা বিইএল অর্থাৎ ভারত ইলেকট্রনিক্সের মতো দেশি সংস্থাগুলোর পকেটে। এর ফলে তৈরি হবে হাজার হাজার কর্মসংস্থানও।
বর্তমানে সুখোইয়ের অনেক যন্ত্রাংশ ভারতে তৈরি হলেও এমন কিছু যন্ত্রাংশ রয়েছে যার জন্য এখনও রাশিয়ার উপর নির্ভরশীল। আর তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল রেডার ও অ্যাভিওনিক্স। আর এবার এই দুই অংশও তৈরি হতে চলেছে ভারতেই। ফলে, রাশিয়ার খুচরো যন্ত্রাংশের জন্য আর হাপিত্যেশ করে বসে থাকতে হবে না বায়ুসেনাকে। ঘরের প্রযুক্তিতেই আকাশ মাতাবে ভারত। আগামী ৫-৬ বছরে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মানচিত্রে এক নতুন যুগের সূচনা হতে চলেছে। লক্ষ্য একটাই— আকাশের দখল থাকবে ভারতের হাতেই।