নয়া দিল্লি: করোনা সংক্রমণ এসে বাড়িকেই অফিস করে তুলেছে। যেই কাজ এতদিন একমাত্র অফিসে বসেই সম্ভব বলে মনে হত, তা লকডাউনের সময়ে অসম্ভবকে সম্ভব করে বাড়িতেই করা হয়েছে। সংক্রমণ কমলেও, দীর্ঘ দুই বছর ধরে ওয়ার্ক ফ্রম হোমে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন যারা, তারা অনেকেই আর অফিসে ফিরতে চাইছেন না। খরচ সাশ্রয় করতে অনেক সংস্থাই তাদের কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুবিধা দিচ্ছেন এখনও। এবার কর্মীদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে আরও এক ধাপ এগিয়ে ওয়ার্ক ফ্রম এনিওয়্যার ঘোষণা করল সুইগি। শুক্রবারই সুইগি সংস্থার তরফে জানানো হয়, কর্মীদের দাবি মেনেই অধিকাংশ কর্মীকেই চিরতরে ওয়ার্ক ফ্রম এনিওয়্যারের সুবিধা দেওয়া হবে। এরফলে কর্মীদের অফিসে তো আসতে হবেই না, একইসঙ্গে বাধ্য়তামূলকভাবে একই শহরে থাকতে হবে, এই নিয়মও অনুসরণ করতে হবে না।
সংস্থার তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সুইগির কর্পোরেট, বিজনেস ও টেকনোলজি টিম যেখান থেকে ইচ্ছা কাজ করতে পারবে। তবে কর্মীদের মধ্যে যাতে সম্পর্ক ও পরিচিতি থাকে, তার জন্য প্রতি ত্রৈমাসিকে এক সপ্তাহের জন্য় তারা অফিসে কাজ করতে আসবে। যে সমস্ত কর্মীদের নিত্যদিন সংস্থার অংশীদার বা পার্টনারদের মুখোমুখি হতে হয়, তাদের সপ্তাহে কয়েকদিন অফিস থেকে কাজ করতে হবে।
সুইগির তরফে জানানো হয়েছে, একাধিক বিভাগের ম্যানেজার ও কর্মীদের মতামত নিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিগত দুই বছরে বাড়ি থেকে কাজ করার সময় সংস্থার মোট কর্মক্ষমতা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। বাড়িতে বসে কাজ করে কর্মীরা যে স্বাচ্ছন্দ্য পাচ্ছে, তাতে কর্মক্ষমতায় বিশেষ কোনও প্রভাব না পড়ায়, এই সিদ্ধান্তে কর্তৃপক্ষও সহমত হয়েছে। এই বিষয়ে সুইগির মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান গিরিশ মেনন বলেন, “আমাদের প্রধান লক্ষ্যই হল কর্মীরা যাতে তাদের কর্মজীবনে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। আমরা বিশ্বের বিভিন্ন ট্রেন্ডের দিকে যেমন নজর রেখেছি, তেমনই আবার আমাদের কর্মীদের, ম্যানেজারদের কথাকেও সমান গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেছি।”
বর্তমানে সুইগির ২৭টি রাজ্য ও ৪টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মোট ৪৮৭টি অফিস রয়েছে। এতে মোট ৫০০০ কর্মী কাজ করেন।