Tata Motors: জাগুয়ারই যেন টাটার লম্বা রেসের ঘোড়া, এক সময় বন্ধ হতে চলা সংস্থাই আজ সোনার ডিম পাড়া হাঁস
Tata Motors: টাটা মোটরসের লাভের একটি বড় অংশ এসেছে তাঁদের বিলাসবহুল গাড়ি থেকেই। বড় লাভ ঘরে এনে দিয়েছে 'জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার'। কিন্তু, শুনতে অবাক লাগলেও একসময় এই টাটা মোটরসই বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন টাটা গ্রুপের কর্ণধার রতন টাটা।
কলকাতা: এক সময় বিক্রি হতে বসেছিল। সেই সংস্থাই যেন এখন টাটা গ্রুপের সোনার ডিম পাড়া হাঁস। গত কয়েক বছরে শেয়ার বাজারেও লম্বা লাফ দিতে দেখা গিয়েছে এই সংস্থাকে। কথা হচ্ছে টাটা মোটরসকে নিয়ে। পরিসংখ্যান বলছে, সংস্থাটি মাত্র ৩ মাসে ৭,০২৫.১১ কোটি টাকা লাভ করেছে। শুক্রবার কোম্পানিটি চলতি অর্থবছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকের ফলাফল প্রকাশ করেছে। এই সময়ের মধ্যে কোম্পানির একত্রিত নিট মুনাফা ছিল ৭ হাজার কোটিরও বেশি।
যদি ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের একই ত্রৈমাসিকের পরিসংখ্যানের সঙ্গে Tata Motors-এর ২০২৩-২০২৪ অর্থবর্ষের অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসির ফলাফল তুলনা করা হয়, তাহলে ১৩৭.৫ শতাংশ বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২-২৩ আর্থিক বছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে কোম্পানির মুনাফা ছিল মাত্র ২৯৫৮ কোটি টাকা। এত লাভ হল কী করে? কী বলছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা?
জাগুয়ার ল্যান্ড রোভারেই বদলেছে ভাগ্য
টাটা মোটরসের লাভের একটি বড় অংশ এসেছে তাঁদের বিলাসবহুল গাড়ি থেকেই। বড় লাভ ঘরে এনে দিয়েছে ‘জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার’। কিন্তু, শুনতে অবাক লাগলেও একসময় এই টাটা মোটরসই বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন টাটা গ্রুপের কর্ণধার রতন টাটা। টানা লোকসানে থাকার কারণে এই সংস্থা ফোর্ডের কাছে বিক্রি করতে চেয়েছিলেন। যদিও সেই সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত বাস্তবের রূপ নেয়নি। যদিও ভাগ্যের ফেরে আবার পরবর্তীতে ফোর্ড তার জাগুয়ার এবং ল্যান্ড রোভার ব্র্যান্ড বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সুযোগকেই কাজে লাগান রতন টাটা। ধুকতে থাকা এই ব্রান্ডকে কিনে ফেলেন। যা এখন টাটা মোটরসের লম্বা রেসের ঘোড়া। হিসাব বলছে, টাটা মোটরসের সবথেকে বেশি আয় হয়েছে জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার থেকেই। বার্ষিক হিসাবে শুধু এই গাড়ির কারণে আয় বেড়েছে ২২ শতাংশ।