Tata Nexon, GST 2.0: Maruti Suzuki-কে টপকে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হল Tata-র গাড়ি, পিছনে কি হাত নতুন জিএসটির?

Maruti Suzuki, Tata: ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সবচেয়ে বেশি কোন গাড়ি বিক্রি হয়েছে? কী ভাবছেন মারুতি সুজুকির কোনও গাড়ি? ওয়াগনআর, ব্যালেনো, ফ্রনক্স বা ব্রেজা? আপনি যদি এই সব ভাবেন তাহলে একেবারে ভুল ভাবছেন বলে দেওয়াই যায়।

Tata Nexon, GST 2.0: Maruti Suzuki-কে টপকে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হল Tata-র গাড়ি, পিছনে কি হাত নতুন জিএসটির?
Image Credit source: Parveen Kumar/HT via Getty Images

Oct 04, 2025 | 10:19 PM

ভারতের গাড়ির বাজারে সবচেয়ে বড় কোম্পানি হচ্ছে মারুতি সুজুকি। সংস্থার মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন ৪ লক্ষ ৯৭ হাজার কোটি টাকার আশেপাশে। গত কয়েক দশক ধরেই ভারতীয় গাড়ির বাজারে এক কথায় দাদাগিরি দেখিয়ে এসেছে এই সংস্থা। কিন্তু গত কয়েকটা বছর ধরেই সেই দাদাগিরিতে কিছুটা ভাটা পড়েছে বলাই যায়। আর তার পিছনে রয়েছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ কংগ্লোমারেট টাটা গোষ্ঠীর হাত।

আচ্ছা, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সবচেয়ে বেশি কোন গাড়ি বিক্রি হয়েছে? কী ভাবছেন মারুতি সুজুকির কোনও গাড়ি? ওয়াগনআর, ব্যালেনো, ফ্রনক্স বা ব্রেজা? আপনি যদি এই সব ভাবেন তাহলে একেবারে ভুল ভাবছেন বলে দেওয়াই যায়। গত মাসে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে টাটা মোটরসের নেক্সন।

টাটা নেক্সনের বাজিমাত!

এক কথায় বলা যায় টাটা নেক্সন সেপ্টেম্বরে ইতিহাস তৈরি করেছে। টাটা মোটরসের এই কম্প্যাক্ট এসইউভি এই মাসে বিক্রি হয়েছে ২২ হাজার ৫৭৩ ইউনিট। এ ছাড়াও এর আগে কোনও দিন টাটার যাত্রীবাহী গাড়ির এমন বিক্রি দেখা যায়নি। আর সেপ্টেম্বরে মারুতি সুজুকি, হুন্ডাই বা মাহিন্দ্রা; কারও গাড়িই এই ম্ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছতে পারেনি।

জিএসটি ২.০

বিক্রিতে এই বিরাট লাফ, এর পিছনে রয়েছে জিএসটি সংস্কারের হাতও। কারণ জিএসটি কমায় নেক্সনের দামও করেছে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা। তার উপর সংস্থা দিয়েছে আরও ৪৫ হাজার টাকার ছাড়। আর এর ফলে, যাদের বাজেট একটু কম ছিল, তারাও এই গাড়ি কিনে ফেলেছে। কারণ, এই ছাড়ের কারণে কলকাতায় নেক্সনের এক্স শোরুম দাম শুরু হচ্ছে ৭ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা থেকে।

সুরক্ষা ও বিকল্প

কিন্তু জিএসটি কমায় দাম কমেছে আরও অনেক গাড়ির। এমনকি এই হুন্ডাই ভেন্যু, মারুতি ব্রেজার মতো গাড়িও রয়েছে এই সেগমেন্টে। তার পরও নেক্সনের এত বিক্রির পিছনে একটি বড় কারণ হল ক্রেতাদের কাছে নেক্সনের একাধিক বিকল্প থাকা। পেট্রোল, ডিজেল, সিএনজি ও ইলেকট্রিকের মতো আলাদা জ্বালানির অপশন ও ম্যানুয়াল ও অটোম্যাটিকের মতো ট্রান্সমিশনের অপশন মিলিয়ে নেক্সন ক্রেতাদের প্রায় ৬২টি ভ্যারিয়েন্ট বিকল্প হিসাবে দেয়।

এ ছাড়াও টাটার গাড়ির মূলমন্ত্র এই মুহূর্তে সুরক্ষা। নেক্সনের পেট্রল বা ডিজেল এবং ইলেকট্রিক, সব ধরনের গাড়িই ভারন এনক্যাপ ক্র্যাশ টেস্টে ৫ তারা রেটিং পেয়েছে। যা এই গাড়িটি কতটা সুরক্ষা প্রদান করে। সেই গল্পই বলে। তবে, এই বাজারে নিজেদের শীর্ষস্থান ধরে রেখে টাটা কীভাবে এগিয়ে যায়, এখন সেটাই দেখার।