৬০ হাজার টাকা কমতে পারে দাম, Ather-এর পদক্ষেপে বিরাট সস্তা হবে Electric Scooter!

Ather Energy: আর এবার সেই এথার তাদের স্কুটারের দাম কমাতে উদ্যোগী হয়েছে। ব্যাটারির জন্য সাবস্ক্রিপশন মডেল নিয়ে আসছে এথার।

৬০ হাজার টাকা কমতে পারে দাম, Ather-এর পদক্ষেপে বিরাট সস্তা হবে Electric Scooter!

Jul 10, 2025 | 3:12 PM

ভারতে ইলেকট্রিক স্কুটারের বাজারে সবচেয়ে পুরনো খেলোয়াড় হল এথার এনার্জি। একেবারে শূন্য থেকে শুরু করে প্রথম ভারতে তৈরি স্কুটার তৈরি করেছে এই সংস্থা। ১০ বছরের বেশি সময় ধরে দেশে স্কুটার তৈরি করছে এথার। প্রথম সংস্থা হিসাবে স্কুটারে গুগল ম্যাপ, ইনবিল্ড সিম: ইত্যাদি দারুণ ফিচার্স নিয়ে এসেছে এই ভারতীয় সংস্থা। আর এবার তাদের নয়া এক পদক্ষেপে নড়েচড়ে বসেছেন বিশেষজ্ঞ থেকে সংস্থার প্রতিদ্বন্দী সংস্থাগুলোও।

আজকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে দাঁড়িয়ে চ্যাট জিপিটিকে যদি প্রশ্ন করা হয় ভারতের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ইলেকট্রিক স্কুটার ব্র্যান্ড কোনটা? চ্যাট জিপিটি মুহূর্তে উত্তর দেয় এথার এনার্জি। আর এর সবচেয়ে বড় কারণ সংস্থার সিইও তরুণ মেহতা নিজে মুখেই বলেছেন। এথারের সবচেয়ে বড় ভরসা ‘মুখের কথা’। অর্থাৎ এথার তার কাস্টমারদের যা প্রমিস করে, সেই কথা এথার রাখে। আর এথারের কাস্টমাররাও বলে থাকেন, যদি এথারের ড্যাশবোর্ডে দেখায় সেই স্কুটার ৫৭ কিলোমিটার যাবে, তাহলে নিশ্চিতভাবেই সেই স্কুটার ৫৭ কিলোমিটারই যাবে। বরং ৫৮ কিলোমিটারও যেতে পারে।

আর এবার সেই এথার তাদের স্কুটারের দাম কমাতে উদ্যোগী হয়েছে। ব্যাটারির জন্য সাবস্ক্রিপশন মডেল নিয়ে আসছে এথার। বর্তমানে ১ লক্ষ ২৫ হাজার থেকে ২ লক্ষ ১০ হাজারের মধ্যে পাওয়া যায় এথারের স্কুটার। আর নতুন এই সাবস্ক্রিপশন মডেল চালু হলে ১ লক্ষ টাকার কমেই পাওয়া যাবে এই স্কুটার। মনে করা হচ্ছে এই মডেলের অধীনে ৩০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত কমতে পারে স্কুটারের দাম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই সাবস্ক্রিপশন এলে স্কুটারের দাম কমবে প্রায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত। সেক্ষেত্রে ব্যাটারির জন্য প্রতি মাসে ৮০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত মাসিক চার্জ দিতে হতে পারে গ্রাহককে। তবে, আগামীতে ব্যাটারি খারাপ হয়ে যাওয়ার চিন্তা থাকবে না গ্রাহকের। ব্যাটারি পুরনো হয়ে গেলে তা বিনা খরচে বদলেও দেবে এথার এনার্জি।

এথারের এই পদক্ষেপে এক ধাক্কায় অনেকটা কমবে স্কুটারের দাম। ফলে, তার প্রভাব পড়বে স্কুটারের বিক্রিতে। আর তাতেই চিন্তায় রয়েছে ওলা, টিভিএস, বাজাজ বা হিরোর মতো সংস্থাগুলো।