
একটি এআই মডেল তৈরি করতে সফটওয়্যরের পাশাপাশি প্রয়োজন হয় দুর্দান্ত হার্ডওয়ার বা চিপ সেটেরও। এই বছরের শুরুর দিকে চিনা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল ডিপসিক সাড়া ফেলে দিয়েছিল। ডিপসিকের কাছে হার মেনেছিল চ্যাটজিপিটির মতো লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলও। যদিও চ্যাটজিপিটির চেয়ে অনেক কম খরচে ও অনেক কম ক্ষমতাসম্পন্ন প্রসেসরের মাধ্যমেই চ্যাটজিপিটিকে হারিয়ে দিয়েছিল এই এআই মডেল।
চিন যখন পেরেছে, তখন ডিপসিকের মতো একটা এআই মডেল ভারতে কেন তৈরি হয় না? বা এআই মডেলের জন্য প্রয়োজনীয় চিপসেট তৈরি করে যে সংস্থা, সেই এনভিডিয়ার উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন চিপ প্রস্তুতকারক ইঞ্জিনিয়ারদের একটা বড় অংশই ভারতীয়। তাহলে প্রয়োজনীয় মানবসম্পদ ও অর্থ থাকার পরও ভারত কেন নিজস্ব একটা এনভিডিয়া তৈরি করতে পারে না?
সিঙ্গাপুরের বেণুগোপাল গ্যারের অধীনে থাকা বার্নস্টেইন রিসার্চ অ্যানালিস্ট বলছে, ভারতের বেশিরভাগ সেক্টরে একটা প্যাটার্ন লক্ষ্য করা গিয়েছে। যেখানে সামনে এসেছে উদ্ভাবনের অভাবের কথা। আর এই ভুল দশকের পর দশক ধরে করে আসছে একাধিক কর্পোরেট সংস্থা। ভারতের বাজারে বহু বছর ধরেই আধিপত্য দেখিয়ে এসেছে ব্যবসায়ী ও পণ্য পরিবেশকরা। যাঁরা শুধুমাত্র কোনও ব্র্যান্ড তৈরি করে গিয়েছেন। এর মধ্যে যেমন রয়েছে প্রতিরক্ষা, সৌরশক্তি, বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারক ও গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা। এ ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ফার্মা সংস্থাও।
বার্নস্টেইন রিসার্চ অ্যানালিস্ট আরও বলছে, ভারতে সেই ধরনের কোনও উচ্চাভিলাষী উদ্যোগপতি নেই। আর যাঁরা রয়েছে, তাঁদের অর্থের অভাব রয়েছে। কিন্তু ভারতের সময় কি বদলাবে? ট্রাম্পের নয়া পলিসিতে কিছুটা হলেও কমবে ভারত থেকে আমেরিকায় পড়তে যাওয়া ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা। এ ছাড়াও এই ধরনের কাজ করার প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলোতে যথেষ্ট পরিমাণে অগ্রগতি দেখিয়েছে ভারত।