
২০২৫ আর্থিক বছরের জন্য এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদের হার ৮.২৫ শতাংশই থাকছে, এখবর তো এখন অনেকেরই জানা। প্রায় ৭ কোটি গ্রাহকদের জন্য গত ২৮ ফেব্রুয়ারি যে সুদের হার কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক ঘোষণা করে, সেই সুদের হার এই চলতি ত্রৈমাসিকে একই থাকছে। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক এবছর সব ইপিএফও গ্রাহকদের টাকা তোলার জন্য বেশ কয়েকটি নতুন নিয়ম চালু করেছে। যেগুলি প্রায় ৭ কোটি গ্রাহককেই প্রভাবিত করবে। এখন ডিজিটাল মাধ্যমের জন্য পিএফ-এর টাকা তোলা আগের চেয়ে অনেক সহজ ও দ্রুতগতির হয়েছে। জেনে রাখুন সেই সব নিয়ম
১. ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর ও মোবাইল নম্বর চালু থাকতে হবে-
এটি প্রাথমিক শর্তগুলির মধ্যে একটি। অনেকেই পিএফ গ্রাহকই দুটি মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেন। যে নম্বর দিয়ে পিএফ অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, সেই নম্বরটি কিন্তু অবশ্যই চালু থাকতে হবে। কারণ, পিএফ-এর টাকা তোলার জন্য ওই মোবাইল নম্বরেই ওটিপি আসবে।
২. আধারের সঙ্গে পিএফ অ্যাকাউন্ট লিঙ্কড থাকতে হবে-
এটিও আরেকটি প্রাথমিক শর্ত। কারণ একজন গ্রাহক যখন পিএফ-এর টাকা তুলতে যাবেন, তখন ই-কেওয়াইসির জন্য তাঁর আধার নম্বরের সঙ্গে লিঙ্কড ওটিপি জেনারেট হবে। আধার লিঙ্ক না থাকলে সেই ওটিপি জেনারেট হবে না, আর গ্রাহক কোনওভাবেই পিএফ-এর টাকা তুলতে পারবেন না।
৩. ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও আইএফএসসি কোড রেজিস্টার থাকতে হবে-
আপনার জমানো পিএফ-এর টাকা সরাসরি জমা পড়বে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। তাই ইপিএফও ডেটাবেসে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঠিক নম্বর ও আইএফএসসি কোড রেজিস্টার না থাকলে আপনার ব্যাঙ্কে কোনওভাবেই পিএফ-এর টাকা ঢুকবে না।
৪. প্যান কার্ডের নম্বর রেজিস্টার বাধ্যতামূলক-
অনেকেই প্যান কার্ডের দিকটি অবহেলা করেন। কিন্তু ডিজিটাল পদ্ধতিতে ইপিএফ-এর টাকা ব্যাঙ্কে পেতে আপনাকে প্যান কার্ডের নম্বর পিএফ ডেটাবেসে দিতেই হবে। যদি আপনার চাকরির মেয়াদ পাঁচ বছরের কম হয় ও আপনি পিএফ-এর সব টাকা ফাইনাল সেটেলমেন্ট করতে চান তাহলে প্যান নম্বর থাকাটা বাধ্যতামূলক।
৫. চাকরিতে জয়েনিং ডেট জানা জরুরি —
আপনি কোনদিন থেকে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, কোনদিন থেকে আপনার বেতনের টাকার অংশবিশেষ আপনার পিএফ অ্যাকাউন্টে জমা পড়তে শুরু করেছে সেটা নথিভুক্ত থাকা জরুরি। যদি না থাকে, তাহলে পিএফ-এর টাকা তুলতে দেরি হবে।
এখন পিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে পুরোপুরি টাকা তোলা ছাড়াও আংশিকভাবে জরুরি কারণের জন্যও টাকা তোলা যায়। সবচেয়ে সুবিধা হল, এই টাকা তুলতে আপনাকে কোথাও ছোটাছুটি করতে হবে না। পুরোটাই হয় ডিজিটালি। দ্রুত এই টাকা আপনার অ্যাকাউন্টেও চলে আসে। শুধু মেনে চলতে হবে কয়েকটি নিয়ম
মনে রাখতে হবে এখন টাকা তুলতে আপনি যে সংস্থায় কর্মরত তাঁদের অনুমতি বাধ্যতামূলক নয়। ফলে আপনি আরও দ্রুত আপনার ক্লেম পেয়ে যেতে পারেন। এমনকী সুবিধা পাবেন পেনশনাররাও। এখন পেনশনের জন্যও অপেক্ষার দিন শেষ। সেন্ট্রালাইজ পেমেন্ট সিস্টেমের জন্য এনপিসিআই-এর মাধ্যমে পেনশনের টাকা সরাসরি ব্যাঙ্কে জমা পড়বে।