
নয়াদিল্লি: আয়কর আদায়ের ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ করে আয়কর বিভাগ। আয়করে সরলীকরণ করতে আয়কর দেওয়ার নতুন কর কাঠামো চালু হয়েছে। তবে এই কর কাঠামো বাধ্যতামূলক নয়। তবে কোনও রোজগেরে ব্যক্তি, নতুন কর কাঠামোর মাধ্যমে আয়কর দাখিল করবেন না পুরনো কর কাঠামোতেই থাকবেন তা তাঁর ব্যক্তিগত পছন্দ। তবে নতুন না পুরনো- কোনও কর কাঠামো বেছে নেওয়ার আগে তা ব্যাপারে জানাটা খুবই প্রয়োজন। সেই সঙ্গে দুই কর কাঠামোর তুল্যমূল্য বিচারও করে নেওয়া যেতে পারে। কোনও প্রকার কাঠামোয় আয়কর রিটার্ন করলে আপনার সুবিধা হবে, তাও হিসাব করে নেওয়া প্রয়োজন। এ জন্য আয়কর বিভাগের তরফে ইনকাম ট্যাক্স ক্যালকুলেটরও এনেছে। কিন্তু তার আগে জেনে নিন, নতুন কর কাঠামোয় কোন কোন ব্যাপারে ছাড় পাওয়া যেতে পারে।
২০২৩ সালে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের বাজেট পেশের পর নতুন কর কাঠামো অধিকাংশের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। এই মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা ছাড় পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এর জন্য কোনও নথি বা প্রমাণ দেওয়ার দরকার নেই। নতুন কর কাঠামোয় এক জন করদাতা এই ছাড়ের জন্য সরাসরি আবেদন করতে পারেন।
ন্যাশনাল পেনশন স্কিমে লগ্নি থাকলে নতুন কর কাঠামোয় ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে। আয়করের ৮০সি ধারায় ন্যাশনাল পেনশন স্কিমে দেড় লক্ষ টাকা অবধি লগ্নিতে ছাড় পাওয়া যাবে।
নিয়োগকারী সংস্থা কর্মীর প্রভিডেন্ট ফান্ডে (EPF) মূল বেতনের ১২ শতাংশ অবদান রাখে। আপনার সংস্থার কাছ থেকে প্রাপ্ত মোট অবসর সুবিধা বার্ষিক ৭.৫ লক্ষ টাকার সীমা অতিক্রম না করা পর্যন্ত এই পরিমাণের উপর কর ছাড়ও পাওয়া যায়।
আপনি যদি এমন একটি সম্পত্তির মালিক হন যা আপনি ভাড়া দিয়ে দিয়েছেন। তাহলে আপনি সেই সম্পত্তির বার্ষিক মূল্যের উপর ৩০ শতাংশ স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন দাবি করতে পারেন।