
গত এপ্রিলেই বাংলাদেশের সঙ্গে ‘ট্রান্সশিপমেন্ট’-এর সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। অর্থাৎ, ভারতের কোনও বন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনও দেশকে পণ্য পাঠাতে পারবে না বাংলাদেশ। তারপর মে মাসে বেশ কিছু বাংলাদেশি পণ্য স্থলপথে ভারতে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নয়া দিল্লি। তাতে কিছুটা হলেও সুবিধা পেয়েছিলেন ভারতে ওই সমস্ত পণ্য প্রস্তুতকারক সংস্থা বা ব্যক্তিবর্গ। আর এবার ঢাকাকে আরও চাপে ফেলল কেন্দ্রীয় সরকার।
মে মাসের নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশি রেডিমেড পোশাক, খাবার ভারতীয় স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। ফলে, বাংলার চ্যাংড়াবান্দা বা ফুলবাড়ি স্থলবন্দর দিয়ে ফল, প্রক্রিয়াজাত খাবার, পোশাক, তুলোর মতো পণ্য ঢোকায় জারি হয়েছিলও নিষেধাজ্ঞা। জানানো হয়েছিল এই সব পণ্য পাঠানোর জন্য কলকাতা বা মুম্বইয়ের বন্দর ব্যবহারের কথা। পরবর্তীতে এই তালিকায় যোগ হয় পাট ও পাটের তৈরি পণ্য। আর এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল পাটের দড়ি, বস্তা, ব্যাগ ব্লিচ করা ও না করা পাটে বোনা কাপড় ইত্যাদি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে ঢুকতে পারবে না।
কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীনে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড বা জিডিএফটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই কথা জানিয়েছে। এ ছাড়াও জানানো হয়েছে এই সব পণ্য মুম্বইয়ের নভশেবা বন্দরের মাধ্যমে যদি পাঠানো হয়, তবেই তা ভারতে ঢোকার অনুমতি পাবে।