ওয়াশিংটন: মালিকানা গ্রহণের পর থেকেই একের পর এক বড় সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন টুইটারের নতুন মালিক ইলন মাস্ক (Elon Musk)। তবে এই সিদ্ধান্তকে ভালভাবে নেননি টুইটারের কর্মী থেকে শুরু করে ব্যবহারকারীরা। সম্প্রতিই বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন টুইটার ব্যবহারকারীরা। এই জনরোষের মুখে পড়েই এবার টুইটার ব্যবহারকারীদের সামনে বড় প্রশ্ন রাখলেন সংস্থার মালিক ইলন মাস্ক। জানতে চাইলেন, “টুইটারের প্রধান পদ থেকে কি আমি সরে দাঁড়াব?”
টুইটারের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকেই একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন বিশ্বের দ্বিতীয় ধনীতম ব্যক্তি ইলন মাস্ক। টুইটারকে লাভজনক বানাতে একের পর এক বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যারমধ্যে অন্যতম হল টুইটারের ৫০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই। তবে সম্প্রতিই একাধিক সাংবাদিকের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার পরই টুইটারে বাক স্বাধীনতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এরপরই রবিবার মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে একটি পোল তৈরি করেন ইলন মাস্ক। সেখানে জানতে চান, তাঁর কি টুইটারের প্রধান পদ থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত।
টুইটে ইলন মাস্ক বলেন, “আমি কি টুইটারের প্রধান পদ থেকে সরে দাঁড়াব? এই পোলের যা ফলাফল আসবে, আমি তাই-ই মেনে নেব।”
Should I step down as head of Twitter? I will abide by the results of this poll.
— Elon Musk (@elonmusk) December 18, 2022
তিনি আরেকটি টুইটে সংস্থায় সাম্প্রতিক নীতিগত পরিবর্তনের প্রসঙ্গ টেনে লেখেন, “আগামী দিনগুলিতে বড় বড় নীতিগত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ভোট করা হবে। আমি ক্ষমা চাইছি, এইরকম আর হবে না”। তৃতীয় টুইটে তিনি আরও লেখেন, “কথায় রয়েছে, কী চাইছো, তা নিয়ে সতর্ক হও, হতেই পারে তা সত্য হয়ে গেল।”
Going forward, there will be a vote for major policy changes. My apologies. Won’t happen again.
— Elon Musk (@elonmusk) December 18, 2022
উল্লেখ্য়, রবিবারই টুইটারের তরফে ঘোষণা করা হয়, যে সমস্ত অ্য়াকাউন্ট অন্য কোনও অ্যাকাউন্ট বা কোনও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, যেমন ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম ও মাস্টোডন-র হয়ে প্রচার করে, সেই অ্যাকাউন্টগুলিকে বন্ধ করে দেওয়া হবে। এই ঘোষণার পরই আরও বিতর্ক তৈরি হয়।