
দেশের অর্থনীতিতে ইদানিং গতি এনেছে একাধিক নতুন নতুন সেক্টর। এর মধ্যে যেমন রয়েছে ক্যুইক কমার্স। রয়েছে অনলাইন ফুড ডেলিভারিও। আর সেই পরিস্থিতিতে এই ধরনের অ্যাপ অর্থাৎ সুইগি বা জোম্যাটোর ব্যবহারও বাড়ছে হু হু করে। কিন্তু এবার নতুন এক বিষয় এসেছে সামনে। দেশের অনের রেস্তোরাঁই নাকি চাইছে না সুইগি বা জোম্যাটোয় রেজিস্ট্রি হয়ে থাকতে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের দাবি ৩৫ শতাংশ রেস্তোরাঁ নাকি চাইছে না এই দুই সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে।
কেন আপত্তি? এর সবচেয়ে বড় কারণ হল কমিশন নিয়ে সংস্থাগুলোর সঙ্গে এই রেস্তোরাঁগুলোর মতের একটা চরম অমিল। গত কয়েক বছর ধরেই রেস্তোরাঁগুলোর সঙ্গে এই অ্যাপগুলোর একটা টানাটানি চলছিল। হিসাব বলছে, ক্রমশই সেই টানাটানির ব্যাপারটা বেড়েছে। আরও স্পষ্ট হয়েছে মতানৈক্য।
বড় রেস্তোরাঁগুলো এমনিই ক্ষমতাধারী। আর তাদের সঙ্গত দিয়েছে একাধিক মাঝারি রেস্তোরাঁও। কারণ, কোনও রেস্তোরাঁই কমিশন নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। কারণ, বিক্রি বেশি হলেও রেস্তোরাঁগুলো লাভের অঙ্ক খুব বেশি পাচ্ছে না।
কিন্তু এখনও সব রেস্তোরাঁ কেন কোনও পদক্ষেপ করছে না? জানা গিয়েছে, একাধিক রেস্তোরাঁর খাবার পৌঁছে যাওয়ার এলাকা বৃদ্ধি পেয়েছে এই ফুড ডেলিভারি অ্যাপের কারণেই। অনেক ছোট রেস্তোরাঁ জানিয়েছে তাদের ব্যবসাও বেড়েছে। আর সেই কারণেই ছোট ছোট রেস্তোরাঁগুলো ফুড অ্যাপের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে একেবারেই চায় না।