
এনপিএস ও ইউপিএস, এই দুইই আসলে আমাদের দেশে বর্তমানে চালু দুই পেনশন স্কিম। ২০০৪ সালে এনপিএস বা ন্যাশনাল পেনশন স্কিম চালু করা হয়। এনপিএস আসলে বাজারের সঙ্গে যুক্ত একটি পেনশন স্কিম। ২০০৪ সালের পর সরকারি কর্মচারীরা, কর্পোরেট কর্মচারীরা ও ২০০৯ সালের পর দেশের সব নাগরিকই এনপিএসে বিনিয়োগ করতে পারে।
অন্যদিকে, এনপিএসের বিকল্প হিসাবে নিয়ে আসা হয় ইউপিএস বা ইউনিফায়েড পেনশন স্কিমকে। কারণ, এনপিএস যেখানে বাজারে বিনিয়োগ করে। ফলে, এনপিএসের রিটার্ন নিশ্চিত নয়। সেখানে ইউপিএস নিশ্চিত রিটার্ন দেয়।
কোনও কর্মচারীর বেসিক স্যালারি ও ডিএ যা, তার ১০ শতাংশ ইউপিএসের অধীনে জমা করতে হবে। এই একই পরিমাণ টাকা দেয় সরকারও। পাশাপাশি অতিরিক্ত ৮.৫ শতাংশ একটি সাধারণ তহবিলে দেবে সরকার। যা থেকে নিশ্চিত পেনশন পাওয়া যায়। সরকারি এই অবদান এনপিএসের ১৪ শতাংশের তুলনায় কার্যত বেশি।
তাহলে ইউপিএস করায় এত অনীহা কেন? আরটিআই বলছে ২০২৫ সালের ২০ জুলাই পর্যন্ত ইউপিএসে যোগ দিয়েছেন ৩১ হাজারের পাশেপাশে কর্মী। সেখানে এনপিএসে রয়েছে প্রায় ২৩ লক্ষ কর্মচারী। কিন্তু এমন কেন? এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এনপিএসে রয়েছে বাজারে বিনিয়োগের সুবিধা। অনিশ্চয়তা থাকলেও দীর্ঘমেয়াদে অনেক বেশি রিটার্ন পাওয়া যায় এনপিএসে।