
সময় যত গড়াচ্ছে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জালিয়াতদের সংখ্যা। বাড়ছে জালিয়াতিও। সতর্কতা একটু কম হলেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, কোনও এক ব্যক্তির নামে সিম তুলে সেই সিম ব্যবহার করা হচ্ছে জালিয়াতির কাজে। আর এবার এই ধরনের জালিয়াতি ঠেকাতেই ব্যবস্থা নিতে চলেছে দেশের ব্যাঙ্ক ও ফিনটেক সংস্থাগুলো। আর এতে তাদের পাশে থাকছে দেশের টেলিকম অপারেটররা।
এবার থেকে ব্যাঙ্ক বা ইউপিআই সার্ভিস প্রদানকারী ফিনটেক সংস্থা ব্যাঙ্কগুলো থেকে খোঁজ নেবে যে অ্যাকাউন্টে থাকা মোবাইল নম্বর আদপে গ্রাহকেরই কি না। তারা সরাসরি যোগাযোগ করবে টেলিকম অপারেটরদের সঙ্গে। আর সেখান থেকেই যাচাই হয়ে যাবে ওই নম্বরে থেকে নাম আর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকা নাম একই কি না।
ব্যাঙ্কগুলোর এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটিও। জানা গিয়েছে, ওই কমিটি চায়, সিম ইস্যুর সময় এআই ফেস রেকগনিশোন ব্যবহার করা হোক। আর এখানে উদ্দেশ্য একটাই, জালিয়াতিকে সমূলে উৎখাত করা।
অনেক বিশেষজ্ঞ আবার বলছেন, অনেকেই নাকি এই সিদ্ধান্তে খুশী নয়। অনেকেই নাকি আশঙ্কা প্রকাশ করছেন এতে নাকি তাদের গোপনীয়তা বিঘ্নিত হতে পারে। যদিও এই দাবি একেবারেই ঠিক নয়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে একটা অদ্ভূত সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ, অনেক এমন মানুষ রয়েছেন যাঁদের ফোন নম্বর বাবা, মা, দাদা, দিদি বা সন্তানের নামে নেওয়া। তবে এই ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক বা টেলিকম অপারেটরগুলো কী ব্যবস্থা নিচ্ছে তা স্পষ্ট নয়।