
কিছু কিনতে গিয়ে আমরা ইদানিংকালে ক্যাশের থেকে ইউপিআই করাটাই সহজ বলে মনে করি। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার হাত ধরে ইউপিআই এখন ভারতের প্রতিটা মানুষ ও প্রতিটা দোকানদারের কাছেই গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে। কিন্তু এই ইউপিআই করলে কারও কাছে আয়কর দফতরের নোটিস আসতে পারে, জানেন কি?
তথ্য বলছে, ইউপিআই মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকার বেশি লেনদেন হলেই আসতে পারে আয়কর বিভাগের নোটিস। তবে কারও থেকে টাকা নিয়ে, সেই টাকা ফিরিয়ে দিলে, তা এই ৫০ হাজারের লিমিটের মধ্যে আসে না। আসলে ইউপিআই লেনদেন ৫০ হাজারের থেকে বেশি হলে আপনার আয়ের সঙ্গে তা মিলিয়ে দেখবে আয়কর দফতর। যদি আপনার আয় এই ইউপিআই লেনদেনের থেকে বেশি হয় তাহলে চিন্তার কোনও কারণ নেই।
ক্যাশব্যাক ও রিওয়ার্ডের চক্করে অনেকেই প্রচুর ইউপিআই লেনদেন করেন। এমন হলে বছরে ৫০ হাজারের বেশি ক্যাশব্যাক এলেই তার উপর কর বসবে। ইউপিআই লেনদেনের পরিমাণ ২০ লক্ষের বেশি হলেই নোটিস আসে জিএসটির। কারণ ২০ লক্ষের বেশি লেনদেন করতে জিএসটি রেজিস্ট্রেশন প্রয়োজন হয়। বেঙ্গালুরুর বেশ কিছু দোকানদারের এই কারণেই নোটিস এসেছে।
এমন ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা ইউপিআই লেনদেনের জন্য সেভিংস অ্যাকাউন্টের বদলে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে সেভিংস অ্যাকাউন্টের যে লিমিট রয়েছে তার মধ্যে ওই ব্যবসায়ী পড়বেন না ও তাঁর কাছে আয়কর দফতরের নোটিস আসার সম্ভাবনা কমবে।