US Federal Reserve’s Rate Cut: আমেরিকায় রেট কাট, ভারতের বাজারের জন্য কতটা খারাপ খবর?

USA Fed Rate Cut: আরও একটা সতর্কতাও জারি করেছেন ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, ডিসেম্বরে আরও একবার কমানো হতে পারে সুদের হার। তবে, ফেডের এই রেট কাটের কারণে কিছুটা হলেও পড়েছে গোটা দেশের বাজার।

US Federal Reserves Rate Cut: আমেরিকায় রেট কাট, ভারতের বাজারের জন্য কতটা খারাপ খবর?
সুদ কমল আমেরিকায়, কী প্রভাব ভারতে?Image Credit source: Alex Wong/Getty Images

Oct 31, 2025 | 10:27 AM

আবার সুদের হার কমিয়ে দিল আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভ। এবার ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার কমিয়ে দিল তারা। আপাতত সুদের হার দাঁড়িয়েছে ৩.৭৫ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশের মধ্যে। যদিও এই রেট কাটের তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়েনি ভারতের বাজারে। কিন্তু এরই সঙ্গে আরও একটা সতর্কতাও জারি করেছেন ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, ডিসেম্বরে আরও একবার কমানো হতে পারে সুদের হার।

বাজারে কেন সতর্কতা?

মার্কিন বন্ডের ইয়েল্ড কমলে আমেরিকান বন্ডের আবেদন কমে। বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, এর ফলে ভারতের মতো এমার্জিং মার্কেটে FII-এর মতো বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে। এটি দীর্ঘমেয়াদে ভারতের জন্য ভালই। তবে তাঁরা এটাও বলছেন যে, এই ২৫ বেসিস পয়েন্ট কাটের কারণে বিরাট কিছু প্রভাব পড়বে এমন আশা করা ঠিক নয়।

লিক্যুইডিটি ফিরতে পারে

আমেরিকায় ঋণের সুদ কমলে লাভবান হতে পারে ভারতের মতো বাজার। কারণ, এই ক্ষেত্রে সুদ কমলে সুদের খরচও কমে যায়। আর আমেরিকায় বন্ড বা বিভিন্ন সরকারি সিকিওরিটিজের রিটার্নও কমে যায়। এমন হলে বিনিয়োগকারীরা আমেরিকা হেড়ে চলে আসে ভারতে মতো দেশের বাজারে। অন্য দেশের তুলনায় ভারতের বাজারে আসার একটা বড় কারণ হল, ভারতের বাজার অন্য দেশের বাজারের তুলনায় অনেকটা বড় ও অনেক বেশি ডাইভার্সিফায়েড। এ ছাড়াও বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতিও আমাদের দেশের। আর সেই কারণেই অন কোনও দেশের তুলনায় ভারতের বাজারকে বেশি ভরসা করে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা।

তবে, বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন এটা বলেও যে, আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমলেই যে আমাদের দেশে শেয়ার বাজারে তার প্রভাব দেখা যায়, এমনটা হয়। আসলে সুদ কমলে সে দেশের বাজারে নগদের প্রবাহ বেড়ে যায়। আর সেই নগদ ঘুরে আসে ভারতের বাজারে।

নিফটি ৫০ কী বলছে?

ফেডের সতর্কতার কারণে এশিয়ান মার্কেটগুলির মতো ভারতেও কিছুটা নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গিয়েছে। তবে এসবিআই সিকিউরিটিজের সুদীপ শাহ মনে করছেন টেকনিক্যালি এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কারণ, রেট কাটের পর ৭৪ পয়েন্টের বেশি পড়েছে নিউইয়র্কের স্টক এক্সচেঞ্জ। ৩৭৭ পয়েন্ট পড়েছে ন্যাসড্যাক।

লিক্যুইডিটি এউ মুহূর্তে ভারতের বাজারের জন্য সহায়ক হলেও, ফাউন্ডামেন্টাল ডেটার দিকেই এখন সবার চোখ থাকবে। ফলে, ফেডের ডিসেম্বরের নীতি নির্ধারণের আগে বাজারে আরও ভোল্যাটিলিটি দেখা যেতে পারে।