
বিয়ে মানেই কয়েক লক্ষ টাকা খরচ। আর এই খরচ করতে স্বাভাবিক ভাবেই মাথায় হাত পড়ে যায় মধ্যবিত্তদের। কারণ, পোশাক, গয়না, সাজসজ্জা, ফটোগ্রাফি, উপহার; সব কিছু মিলিয়ে খরচ যে কোথায় গিয়ে দাঁরাবে, সেটা আর হিসাবের মধ্যে থাকে না। আর এর মধ্যেও একটা বিরাট খরচ হয়, বিয়ের জায়গা ও অতিথিদের খাবারের খরচের পিছনে।
একটা ঠিকঠাক ব্যাঙ্কোয়েট হল বা কমিউনিটি হল যদি বিয়ের জন্য বুক করেন, আপনার খরচ দাঁড়াবে প্রায় ২ লক্ষ টাকার আশেপাশে। আর পিক সিজনে সেই খরচ তো আরও বাড়তে পারে। এ ছাড়াও রয়েছে খাবার খরচ। ঠিকঠাক একটা মেনু করলেও প্লেট প্রতি খরচ হয় হাজার খানেক টাকার বেশি। তবে, খরচ কমানোর একটা উপায় রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একই ভেন্ডরের থেকে যদি আপনি বিয়ের হল ও ক্যাটারিং, একসঙ্গে বুকিং করেন তাহলে নাকি আপনি ১৩ শতাংশ পর্যন্ত সাশ্রয় করতে পারবেন। একেই বলে ‘কম্পোজিট সাপ্লাই’। যদি আপনি হল ও ক্যাটারিং আলাদা আলাদা বুক করেন, তাহলে হলের উপর লাগে ১৮ শতাংশ জিএসটি বসে। এ ছাড়াও ক্যাটারিংয়ের উপর বসে ৫ শতাংশ জিএসটি।
যদি দু’টি পরিষেবা একসঙ্গে বুক করা হয়, তবে পুরো প্যাকেজটির উপর মাত্র ৫ শতাংশ জিএসটি ধার্য হয়। এই ভাবেই আপনি বাঁচাতে পারেন অর্থ।
একটি সহজ অঙ্ক কষে দেখলে বোঝা যাবে ব্যপারটা। যদি হলের বেস ভাড়া হয় ৫ লক্ষ টাকা এবং ক্যাটারিং খরচ হয় ২ লক্ষ টাকা। তবে ৭ লক্ষ টাকার প্যাকেজ বুক করলে আপনি প্রায় ৬৫ হাজার টাকা বাঁচিয়ে ফেলবেন। হলের পিছনে খরচ ১০ লক্ষ টাকা হলে এই সাশ্রয়ের পরিমাণ ১ লক্ষ টাকাও ছাড়িয়ে যেতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিয়ের বাজেটে সবচেয়ে বড় সাশ্রয় আসে ট্যাক্স স্ট্রাকচার অপটিমাইজেশনথেকে। দম্পতিরা প্রায়শই এই অংশটি এড়িয়ে যান। কিন্তু হল এবং ক্যাটারিং একসঙ্গে বুকিং করলে খরচ ১০ শতাংশ থেকে ১৩ শতাংশ পর্যন্ত কমানো সম্ভব। সামান্য এই কৌশল কাজে লাগালে আপনার অতিরিক্ত পরিশ্রম ছাড়াই হাজার হাজার টাকা সাশ্রয় হবে।
আপনি যদি কম বাজেটে একটি জমকালো অনুষ্ঠান চান, তবে খাবারের মেনু ছোট করুন। কেবল জনপ্রিয় পদগুলি বেছে নিন। এতে প্লেট-প্রতি খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে। সঙ্গে মণ্ডপের সাজসজ্জায় সামান্য সংযম আনুন। তাহলেই ট্যাক্স এবং অন্য খরচ মিলিয়ে বিয়ের মরসুমে আপনি একটা দারুণ স্বস্তি পেতে পারেন।