
দেশে অপরিশোধিত পেট্রোলিয়ামের আমদানি কমাতে ও পরিবেশ দূষণে রাশ টানতে E20 পেট্রোল চালু করেছে ভারত। ইতিমধ্যেই সরকার জানিয়ে দিয়েছে গোটা দেশের সব পেট্রোল পাম্পেই এই ধরনের তেল মিলবে। যদিও এই তেলের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা হলেও চিন্তায় পড়েছেন মোটরগাড়ি থেকে বাইকের মালিকরা। বিশেষত যে সব গাড়ি E20 কম্প্যাটিবল নয়, সেই গাড়ির ক্ষেত্রে সমস্যা আরও বেশি।
কিন্তু E20 পেট্রোলে তো দূষণ কমবে। তেলের আমদানি খরচও কমিয়ে ফেলবে কেন্দ্রীয় সরকার। তাহলে সমস্যাটা কোথায়? আসলে এই E20 পেট্রোল ইঞ্জিনের বিভিন্ন অংশের ক্ষতি করে। এ ছাড়াও গাড়ির মাইলেজও কমিয়ে দেয়। আর এই কারণেই চিন্তায় পেট্রোল চালিত গাড়ির মালিকরা।
আসলে ইথানলের এনার্জি ডেনসিটি পেট্রোলের তুলনায় কম। আর সেই কারণেই পেট্রোলে ২০ শতাংশ ইথানল মেশানো হলে সেই মিশ্রিত পেট্রোল, যা E20 নামে পরিচিত, তার এনার্জি ডেনসিটিও কমে যাবে। আর সেই কারণেই একই দূরত্ব যেতে কিছুটা বেশি তেল প্রয়োজন হবে। অর্থাৎ, মাইলেজ কমে যাবে গাড়ির। কিন্তু মাইলেজ কমবে কতটা? ARAI রিপোর্ট বলছে ১ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে কমবে গাড়ির মাইলেজ। অন্যদিকে, বেশ কিছু গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা বলছে মাইলেজ কমবে ৭ থেকে ৮ শতাংশ। যদিও অনেক গাড়ির মালিক বলছেন মাইলেজ কমেছে ২০ শতাংশের কাছাকাছি।
যদিও এই মাইলেজ অনেকাংশে নির্ভর করে ইঞ্জিনের প্রযুক্তি, চালকের গাড়ি চালানোর স্টাইল ও রাস্তার অবস্থার উপর। ফলে, বিভিন্ন চালকের ক্ষেত্রে একই দূরত্বের আলাদা আলাদা মাইলেজ হতেই পারে।
তবে, অনেক গাড়ি এনথুসিয়াস্ট বলছেন, E20 পেট্রোলের কারণে, পুরোনো গাড়িতে একাধিক যন্ত্রাংশে সমস্যা আসতে পারে। ফুয়েল ইনজেক্টর, থ্রটল বডির মতো যন্ত্রে দেখা দিতে পারে সমস্যা। তবে, আসলে কী হবে, সেটা E20 পেট্রোল কিছুদিন বাজারে থাকলেই বোঝা যাবে।