
এসআইআর চলছে। আর এর মধ্যে ১২ নম্বর নথি হিসাবে আধারকে নথিভুক্ত করা হয়েছে। ফলে, শুধু আধার কার্ড দিয়ে পরিচয় প্রমাণ করা যাবে না। এর সঙ্গে দিতে অন্য কোনও নথি। এসআইআরে আধার কার্ডকে নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না, স্পষ্ট জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। অ্যাডভোকেট অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়ের করা জনস্বার্থ মামলার জবাবে একটি হলফনামা দিয়ে এই অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে কমিশন।
১৩০ কোটির দেশে দ্বৈত তালিকাভুক্তি আটকানোই লক্ষ্য। সেই উদ্দেশ্যেই ১৯৫০ সালের জন প্রতিনিধিত্ব আইনের ২৩(৪) ধারা অনুসারে কেবল পরিচয়ের প্রমাণ হিসাবেই আধার ব্যবহার হচ্ছে। কমিশন জানিয়েছে, তারা এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা জারি করেছে।
২০২১ সালের আইন সংশোধনের পরেই ভোটার তালিকা আধার ইকোসিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত করার ব্যবস্থা শুরু হয়। কিন্তু ২০১৬ সালের আধার আইনের ৯ নম্বর ধারা এবং ইউআইডিএআইয়ের নির্দেশিকা অনুসারে আধার কোনওভাবেই নাগরিকত্ব, বাসস্থান বা জন্মতারিখের প্রমাণ নয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই পদক্ষেপটি সাংবিধানিক ম্যান্ডেটকে সম্মান করে। অর্থাৎ, ভোটারের যোগ্যতার প্রধান মাপকাঠি ১৮ বছর বয়স এবং সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ‘সাধারণ বাসিন্দা’ হওয়া। এই নিয়মগুলি নিশ্চিত করতেই ফর্ম ৬ সংশোধন করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টও গত ৭ অক্টোবর জানিয়েছে, আধার নাগরিকত্ব বা ডোমিসাইলের প্রমাণ নয়। এই কড়া আইনি কাঠামোই বুঝিয়ে দিচ্ছে, পরিচয় এবং অধিকারের মধ্যে সীমানা স্পষ্ট রাখতে চাইছে নির্বাচন কমিশন।