
ভারতের ডিজিটাল নেভিগেশনের বাজারে এক প্রকার একচ্ছত্র আধিপত্য রয়েছে গুগল ম্যাপের (Google Maps)। কিন্তু এবার সেই জায়গায় জোর টক্কর দিতে চলেছে দেশের নিজস্ব ম্যাপ, ম্যাপেলস। এটি তৈরি করেছে ‘ম্যাপ মাই ইন্ডিয়া’ নামের একটি সংস্থা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের রাস্তাঘাট খুবই জটিল। আর সেই রাস্তায় গুগলের ম্যাপ অনেক সময় সঠিক ভাবে কাজ করে না। কিন্তু ম্যাপেলস সেই জায়গায় একেবারে পুরো নম্বর পেয়ে পাশ করছে।
ভারতীয় ব্যবহারকারীদের জন্য ম্যাপেলস নিয়ে এসেছে এমন কিছু বিশেষ সুবিধা যা এই ম্যাপেলসকে গুগল ম্যাপের থেকে অনেকটা এগিয়ে রাখবে। ম্যাপেলসে রয়েছে ইন্টিগ্রেটেড ডিজি পিন। ফলে, দেশের যে কোনও স্থানে আপনাকে নিয়ে চলে যেতে পারে এই ম্যাপ। কাশ্মীরের সবচেয়ে দুর্গম এলাকা থেকে সুন্দরবনের জঙ্গলে ঘেরা বাঘে আড্ডাখানায়।
শুধুমাত্র পথ দেখিয়ে ক্ষান্ত হয়ে যায় ম্যাপেলস, এমনটা নয়। এই অ্যাপটি একটি টোল এবং ট্রিপ কস্ট ক্যালকুলেটর-এর সুবিধা দেয়। অর্থাৎ, নিজের গাড়ি বা বাইকে করে কোথাও যাওয়ার আগেই আপনি সেই জায়গায় যেতে কত খরচ তা বুঝতে পারবেন। এর মধ্যে যেমন থাকে টোল খরচ, তেমনই থাকে গাড়ির জ্বালানি খরচ।
শহরের জটিল ফ্লাইওভার বা হাইওয়ের ইন্টারচেঞ্জগুলি অনেক সময়েই বিভ্রান্তিকর হয়ে ওঠে। ম্যাপলস এই সমস্যার সমাধান করেছে বাস্তবসম্মত ৩ডি জংশন ভিউয়ের মাধ্যমে। এর ফলে লেন পরিবর্তন, কোনও রাস্তা বা লেনে ঢোকা বা বেরোনোর রাস্তা স্পষ্টভাবে দেখা যায়। ইসরোর সঙ্গে এদের সহযোগিতা থাকায়, ভারতের ভূখণ্ডে এর নির্ভুলতা আরও বেশি।
বেঙ্গালুরুর মতো শহরে, ম্যাপলস লাইভ ট্র্যাফিক সিগন্যাল টাইমার-এর সুবিধা দিচ্ছে। লাল বা সবুজ বাতির কাউন্টডাউন দেখতে পাওয়ায় চালকরা আগে থেকে প্রস্তুতি নিতে পারেন। এর পাশাপাশি, সাধারণ রাস্তায় থাকা স্পিড ব্রেকার, গর্ত, তীক্ষ্ণ বাঁক ও স্পিড ক্যামেরার মতো বিষয়গুলোর জন্য বিশেষভাবে সতর্কতা জারি করে।
দেশের জন্য তৈরি এই ম্যাপলস অ্যাপটি স্থানীয় সমস্যাগুলি বোঝার জন্য কয়েক দশকের অভিজ্ঞতা ব্যবহার করেছে। আপনি যদি ভারতের যে কোনও রাস্তায় চলাচল করতে চান, তাহলে গুগল ম্যাপের দিকে না তাকিয়ে একবার ‘স্বদেশী’ ম্যাপলস ব্যবহার করে দেখতেই পারেন।