দেশজুড়ে তুলে নেওয়া হচ্ছে ২০০০ টাকার নোট। এই বছরে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাঙ্কে গিয়ে এই নোট বদল করা যাবে। তবে আরবিআই-র তরফে জানানো হয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বরের পরেও বৈধ থাকবে এই নোট। ইতিমধ্যেই ২০০০ টাকার নোট ফেরত নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ব্যাঙ্কগুলি। তবে আরবিআই-র কাছে এই নোটগুলি যাওয়ার পর কী হবে?
২০০০ টাকার সব নোট সংগ্রহ করার পর তা আরবিআই-র কাছে জমা পড়বে। কারেন্সি ভেরিফিকেশন অ্য়ান্ড প্রসেসিং সিস্টেম-র মাধ্যমে সেই নোটগুলি যাচাই করা হবে। এক ঘণ্টায় ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার নোট যাচাই করতে পারে সিভিপিএ সিস্টেম। এই পদ্ধতিতে ঠিকঠাক নোটগুলিকে আলাদা করা হয়। তারপর নতুন নোট তৈরির জন্য এই নোটগুলিকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলার জন্য সেগুলিকে কাটা হয়।
আর যে নোটগুলি ঠিকঠাক নয়, সেগুলি আগে পুড়িয়ে দেওয়া হত। তবে দূষণের কথা মাথায় রেখে সেই প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তে সেই নোটগুলি কুচি কুচি করে ব্রিকেটিং সিস্টেমে পাঠানো হয়। সেখানে এর থেকে ব্রিকেট তৈরি করা হয়। শিল্প কারখানাগুলি এই ব্রিকেটগুবি ফার্নেসে ব্যবহার করে। এছাড়াও পেপার বোর্ড তৈরিতে এই ব্রিকেট ব্যবহৃত হয়। এই ব্রিকেটগুলি বিক্রি করার জন্য আরবিআই টেন্ডারও ডাকে। ২০১৬ সালে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের পর তা থেকে তৈরি ব্রিকেট ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া প্লাইউডস লিমিটেডের কাছে বিক্রি করা হয়।