
আমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা। মারা গিয়েছেন ২৫০-এর বেশি মানুষ। আর তারপরই শোকবার্তা দিয়ে নিজেদের প্রোফাইল ফটো কালো করে দেয় এয়ার ইন্ডিয়া। ১২ জুন সন্ধে ৭টা ১৮-তে টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরণ টুইট করে জানান এই দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে তাঁরা। আহতদের চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নেবে টাটা গ্রুপ। এ ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত মেডিক্যাল কলেজটিকেও সাহায্য করা হবে।
দুর্ঘটনায় মৃত্যু হওয়া ব্যক্তিদের ডিপেন্ডেন্টই সাধারণত ক্ষতিপূরণ পায়। আর এখানেই উঠে আসে একটি প্রশ্ন। এই দুর্ঘটনায় অনেকেই মারা গিয়েছেন। মৃতদের অনেকে পরিবারের সঙ্গেও ছিলেন। ফলে, যাঁরা পরিবার সহ মারা গিয়েছেন তাঁদের ক্ষতিপূরণের টাকা কে পাবে? আর এখানেই জবাব দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী অরিন্দম দাস। তিনি বলছেন, “এমন ক্ষেত্রে যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের রক্তের সম্পর্কের যে আত্মীয় রয়েছেন, তিনিই পাবেন এই ক্ষতিপূরণ। যদি ডিপেন্ডেন্ট বেঁচে থাকেন তাহলে তিনি পাবেন”।
তিনি আরও বলেন, “আমরা যখন কোনও বিমা সংস্থার কাছে টার্ম পলিসি করাই তখন পলিসিহোল্ডারের মৃত্যুর পর টাকা পায় ডিপেন্ডেন্ট বা নমিনি। কিন্তু দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে এমন কোনও নমিনি থাকে না। কারণ এই সব ক্ষেত্রে সংস্থাগুলো নিজেদের দায়িত্ব থেকেই এই ক্ষতিপূরণ দেয় মৃত বা আহতদের পরিবারকে।
উল্লেখ্য, অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক বলছে, ২০১৫ সালের ৯ জুলাই দিল্লি হাইকোর্টের দেওয়া একটি অর্ডার অনুযায়ী তারা ক্ষতিপূরণ দেয়। এবার আহত বা মৃতদের জন্য আলাদা আলাদা ক্ষতিপূরণের কথা বলা হয়েছে সেই রায়ে। অন্যদিকে বিমানে থাকা অন্যদেশের নাগরিকদের জন্য ১৯৯৯ সালের মন্ট্রিয়ল কনভেনশনকে ধরা হয়। যে কনভেনশনের হিসাব অনুযায়ী বিমান সংস্থাগুলো আহত ও নিহদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য।