
Gen Z থেকে শুরু করে Gen Alpha, কয়েক প্রজন্মের মানুষের মধ্যে নিজের জনপ্রিয়তা টিকিয়ে রেখেছে পার্লে-জি (Parle-G)। অনেকেরই ছেলেবেলার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত এই Parle-G বিস্কুট। এখনও সমহিমায় বাজারে বিকোচ্ছে সেই কয়েক দশক পুরনো Parle-G। (ছবি সৌজন্যে: Parle-G টুইটার)

১৯৯৪ সালে এক প্যাকেট Parle-G বিস্কুটের দাম ছিল ৪ টাকা। ২০২১ সাল অবধি এই দামেই বিক্রি হচ্ছে এই বিস্কুট। তবে সম্প্রতি এর ১ টাকা দাম বেড়ে হয়েছে প্যাকেট প্রতি ৫ টাকা। মূল্যবৃদ্ধির কোপে দাম বেড়েছে বহু সামগ্রীর। তবে গত ২৫ বছর ধরে একই দামে কীভাবে বিকোচ্ছিল Parle-G? (ছবি সৌজন্যে: Parle-G টুইটার)

LinkedIn এ সুইগিতে ডিজাইন ডিরেক্টর সপ্তর্ষি প্রকাশ জানিয়েছেন, একাধিক অপারেশনাল অপটিমাইজ়েশনের পাশাপাশি এক্ষেত্রে মনস্তাত্ত্বিক বিষয় কাজে লাগিয়েছে Parle। তিনি বলছেন, 'আমরা যখন ছোটো প্যাকেটের কথা বলি আমাদের মাথায় আসে একটি ছোটো প্যাকেট যা আমাদের হাতে এঁটে যায় এবং সেখানে অনেক বিস্কুটও থাকে।' (ছবি সৌজন্যে: Parle-G টুইটার)

Parle এক্ষেত্রে ভাল বিজনেস স্ট্র্য়াটেজি কাজে লাগিয়েছে। তারা বিস্কুটের দাম বাড়ানোর পরিবর্তে ধারাবাহিকভাবে নিজেদের বিস্কুটের প্য়াকেটের সাইজ় ছোটো করে দিয়েছে। তবে ছোটো বিস্কুটের প্যাকেটের ধারণা একই রেখেছে। (ছবি সৌজন্যে: Parle-G টুইটার)

সপ্তর্ষি প্রকাশ বলছেন, প্রথমে Parle-G বিস্কুটের একটি ছোটো প্য়াকেটের ওজন ছিল ১০০ গ্রাম। আর দাম ছিল ৪ টাকা। কয়েক বছর পরেই সেই বিস্কুটের প্যাকেটের ওজন কমে হয় ৯২.৫ গ্রাম। তারপর তা আরও কমে হয় ৮৮ গ্রাম। বর্তমানে ৫৫ গ্রাম Parle-G বিস্কুটের দাম দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা। ১৯৯৪ সালে যা ১০০ গ্রাম দিয়ে শুরু হয়েছিল এখন তা ৫৫ গ্রাম। অর্থাৎ, বিস্কুটের পরিমাণ কমেছে ৪৫ শতাংশ। (ছবি সৌজন্যে: Parle-G টুইটার)

এইভাবেই অনেক মানুষের মধ্যে ধারণা তৈরি হয়, এই বিস্কুটের দাম বাড়েনি। তবে কোম্পানি নিজের বিস্কুটের দাম না কমিয়ে এইভাবে গ্রাহকদের এক রেখেই এইভাবে নিজেদের দাম এক রেখে গিয়েছে। এই পন্থাকে বলে গ্রেসফুল ডিগ্রেডেশন (Graceful Degradation)। Parle-G বিস্কুটের মতো এই কৌশল মেনে চলে আলুর চিপস প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি। (ছবি সৌজন্যে: Parle-G টুইটার)