AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bullet Train: বুলেট ট্রেনের সামনের অংশটা কেন ছুঁচলো, বলুন তো?

Railways: ১৯৯০-র দশকে জাপানো পথচলা শুরু বুলেট ট্রেনের। হাইস্পিড এই ট্রেন যখন দ্রুতগতিতে সুড়ঙ্গে ঢুকত, তখন ভিতরের বদ্ধ হাওয়া ঠেলে এগোতে হত। অতিরিক্ত গতি ও বাতাসের চাপ থাকায় সুড়ঙ্গের ওপ্রান্তে বিকট শব্দ হত।

Bullet Train: বুলেট ট্রেনের সামনের অংশটা কেন ছুঁচলো, বলুন তো?
বুলেট ট্রেন।Image Credit source: Pixabay
Follow Us:
| Updated on: Apr 16, 2025 | 6:10 PM

নয়া দিল্লি: চিন-জাপানে এক মিনিটও লেট করে না ট্রেন। সেখানে ছোটে বুলেট ট্রেন। চোখের পলকে গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়া যায়। ভারতেও আসতে চলেছে বুলেট ট্রেন। আগামী বছর, ২০২৬ সালের মধ্যে দেশেও ছুটবে হাইস্পিড ট্রেন, এমনটাই পরিকল্পনা কেন্দ্রের।

ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে বুলেট ট্রেন। হাই স্পিড এই ট্রেন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আগ্রহের শেষ নেই। তবে যে কৌতুহল অনেকের মনেই আসে, তা হল বুলেট ট্রেনের আকার। বিশেষ করে বুলেট ট্রেনের সামনের অংশ ছুঁচলো হয় কেন? এই ডিজাইন কিন্তু শুধু সৌন্দর্য্যের জন্য নয়, বরং এর পিছনে রয়েছে অনেক গবেষণা।

১৯৯০-র দশকে জাপানো পথচলা শুরু বুলেট ট্রেনের। হাইস্পিড এই ট্রেন যখন দ্রুতগতিতে সুড়ঙ্গে ঢুকত, তখন ভিতরের বদ্ধ হাওয়া ঠেলে এগোতে হত। অতিরিক্ত গতি ও বাতাসের চাপ থাকায় সুড়ঙ্গের ওপ্রান্তে বিকট শব্দ হত। ট্রেনের যাত্রীরা এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়তেন।

যাত্রীদের সুরক্ষিত যাত্রার জন্য ভাবতে গিয়ে ফিজিক্স ব্যবহার করা হয়। বিনা শব্দে যাতে বুলেট ট্রেন যাতায়াত করতে পারে, তার জন্য ইজি নাকাতসু নামক একজন জাপানিজ ইঞ্জিনিয়ার  নতুন এক ডিজাইজন তৈরি করেন।  প্রকৃতিপ্রেমী ইজি নানা সময়ে নিজের কাজের অনুপ্রেরণা পেতেন চারপাশের পরিবেশ থেকেই।

ইজি একদিন দেখেন, মাছরাঙার যখন জলে মাছ ধরে, তখন জলে প্রায় কোনও তরঙ্গই তৈরি হয় না। দ্রুতগতিতে এসে এক ছোঁ-তে মাছ তুলে নেয়। ইজি নাকাতসু এর উত্তর খুঁজতে পড়াশোনা করেন। জানতে পারেন যে পাখির ছুঁচলো ঠোট, চঞ্চুর জন্য এটা সম্ভব হয়। পাখির চঞ্চু এমনভাবেই তৈরি, যা বাতাস বা জলের বাধা পেরিয়ে যেতে পারে।

মাছরাঙার চঞ্চু থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি বুলেট ট্রেনের ইঞ্জিনের ডিজাইন আঁকেন। আর প্রথম প্রচেষ্টাই হিট। বুলেট ট্রেনের এই নতুন ডিজাইনে সুড়ঙ্গে ঢোকার সময় বিকট শব্দ যেমন বন্ধ হয়ে যায়, তেমনই আবার বাতাসের বাধাও কমে যায়। অর্থাৎ বাতাসে ঘর্ষণ কমে যায়। এতে বুলেট ট্রেনের স্পিড বাড়াতে আরও সুবিধা হয়।

জাপানের এই বুলেট ট্রেন থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে বিভিন্ন দেশে বুলেট ট্রেনের ডিজাইন তৈরি করা হয়েছে।