নয়া দিল্লি: ১৪ নভেম্বর শুধু শিশু দিবস নয়, একইসঙ্গে বিশ্ব মধুমেহ দিবসও (World Diabetes Day)। বর্তমানে প্রায় প্রত্যেক ঘরে ঘরেই রয়েছে মধুমেহ রোগী (Diabetic Patient)। টাইপ-২র মতো টাইপ- ১ মধুমেহ, যেখানে অল্পবয়সীরাও মধুমেহে আক্রান্ত হন, তাদের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ৪২২ মিলিয়ন অর্থাৎ ৪২.২ কোটি মধুমেহ রোগী রয়েছে। প্রত্যেক বছরই বিশ্বে প্রায় ১৫ লক্ষেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয় মধুমেহের কারণে। অর্থাৎ মধুমেহ রোগী যদি সঠিক যত্ন না করেন, তবে তা প্রাণঘাতীও হয়ে উঠতে পারে।
বর্তমানে পরিবর্তিত জীবনযাত্রায় রোগের হারও ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সেই কারণেই স্বাস্থ্যবিমা থাকা অত্য়ন্ত জরুরি। তবে মধুমেহ রোগে যারা আক্রান্ত, তারা অনেক সময়ই ভাবেন যে আদৌই স্বাস্থ্যবিমায় কভারেজ পাওয়া যাবে কি না।
সুস্থ ব্য়ক্তিদের মতো মধুমেহে আক্রান্ত ব্যক্তিরাও স্বাস্থ্যবিমা করাতে পারেন এবং বিমার কভারেজের অধীনে মধুমেহের চিকিৎসাও আসে। তবে এর জন্য মধুমেহে আক্রান্ত রোগীদের অতিরিক্ত প্রিমিয়াম দিতে হয়। এই বিষয়ে একটি সংস্থার বিমা বিশেষজ্ঞ পূজা যাদব জানান, মধুমেহের মতো রোগ, যা জীবনযাত্রার কারণে হয়, তাও স্বাস্থ্যবিমার অধীনে আসে। যদি বিমা করানোর পর কেউ মধুমেহে আক্রান্ত হন, তবে স্বাস্থ্যবিমা করানোর সময় ওয়েটিং পিরিয়ড বা লোডিং পিরিয়ড দেওয়া হয়। এরসঙ্গে অতিরিক্ত প্রিমিয়ামও দিতে হয় মধুমেহ রোগীদের। কো-পের মতো অপশনও পাওয়া যায় মধুমেহে আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে।
যদি সঠিক সময়ে মধুমেহ রোগ শনাক্ত না হয় এবং রোগীর চিকিৎসা সঠিক সময়ে শুরু না হয়, তবে মধুমেহের চিকিৎসা যথেষ্ট খরচসাপেক্ষ হয়ে উঠতে পারে। সুতরাং স্বাস্থ্যবিমা করার আগে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। মধুমেহ রোগীরা যখন স্বাস্থ্যবিমা করাবেন, তখন তাদের অবশ্যই দেখে নেওয়া উচিত যে বিমা যেন হাসপাতালে ভর্তির খরচের কভারেজের পাশাপাশি হাসপাতালে ভর্তির আগে ও পরের খরচও বহন করে। এছাড়া ডায়ালিসিস, অ্যাম্বুলেন্সের খরচ থেকে শুরু করে চিকিৎসার যাবতীয় খরচই বহন করে।
যেকোনও স্বাস্থ্যবিমার ক্ষেত্রেই তার প্রিমিয়াম বিমার বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার উপর নির্ভর করে। এছাড়া কত বছর বয়সে বিমা করাচ্ছেন,কত টাকার বিমা ও যিনি বিমা করাচ্ছেন, তার মেডিক্যাল ইতিহাসও খতিয়ে দেখা হয়। যাদের মধুমেহ রয়েছে, তাদের ‘হাই রিক্স’ ক্যাটেগরিতে রাখা হয়। কারণ, তাদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা বাকিদের তুলনায় অনেকটা বেশি থাকে।
একজন সুস্থ ব্যক্তি যদি পরিবারের তিনজনের জন্য ১০ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবিমা করান, তবে মাসিক প্রিমিয়াম ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা হয়। সেখানেই একজন মধুমেহ রোগীর ক্ষেত্রে মাসিক প্রিমিয়াম ১০ থেকে ২০ শতাংশ বেশি হয়। প্রিমিয়াম কতটা বেশি হবে, তা রোগ কতটা গুরুতর, তার উপর নির্ভর করে।