কলকাতা : করোনাকালের মন্দা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশীয় অর্থনীতি (Indian Economy)। এদিকে এই করোনা মহামারি (Coronavris Pandemic) মানুষকে এমন শিক্ষা দিয়েছে যে বদলে গিয়েছে মানুষের অভ্যাস। মানুষ বুঝতে পেরেছে বিমার সুবিধা। একইসঙ্গে বিমা (Life Insurance) কেনাবেচাও আগের থেকে অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইআরডিএআইয়ের বার্ষিক রিপোর্ট (IRDAI Anual Report) অনুসারে দীর্ঘ সময়ের বিমার প্রিমিয়ামের ক্ষেত্রে ১১ শতাংশ বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছে। এদিকে দিন যত গড়াচ্ছে ততই বাড়ছে মহিলাদের (Life Insurance for Women) জন্য বিমার চাহিদা। তবে সাধারণত গৃহিনীদের জন্য এতদিন আলাদা বিমা মিলত না। তাঁরা সাধারণত স্বামীর বিমার অংশ পান। বর্তমানে পলিসি বাজারের সঙ্গে মিলে ম্যাক্স লাইফ বিমা সংস্থা গৃহিনীদের জন্য বিমা এনেছে। এই বিমার নাম দেওয়া হয়েছে ম্যক্স লাইফ সিকিওর প্লাস। এটাই গৃহিনীদের জন্য প্রথম জীবন বিমা প্ল্যান।
এতদিন সাধারণত একজন মহিলা স্বামীর অফিস থেকে প্রাপ্ত বিমার ৫০ শতাংশ সুবিধা পেতেন। আয় অনুযায়ী মেলে সুবিধা। স্বামীর বিমার কভারেজ কম থাকলে স্ত্রীর বিমার অংশও কমে যায়। ধরা যাক, কোনও ব্যক্তির বার্ষিক আয় ৫ লক্ষ টাকা। তিনি তাঁর আয়ের ২০ গুণ অর্থাৎ এক কোটির বিমা পেতে পারেন। কিন্তু ওই ব্যক্তি যদি ১ কোটি টাকা পর্যন্ত কভারেজ নেন তাহলে তাঁর স্ত্রীর জন্য কিছুই থাকবে না। কিন্তু যদি তিনি ১ কোটির কম বা ৭৫ লক্ষ টাকার বিমা নিয়ে থাকেন তাহলে তাঁর স্ত্রীর জন্য থাকবে ২৫ লক্ষ টাকা। ম্যাক্স লাইফ সিকিওর প্লাস আদপে একটি স্বাধীন বিমা প্ল্যান। এতে কোনও ব্যক্তির কাছে বিমা থাকুক বা না থাকুক এতে গৃহিনীদের জন্য ৪৯.৯৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমার কভারেজ পাওয়া যায়। বয়স ও বিমার মূল্য অনুযায়ী বিমার মূল্য নির্ধারণ হবে। সাধারণত বিমার প্রিমিয়াম শুরু হচ্ছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা থেকে।
এই প্রসঙ্গে Policybazar.com-এর অন্যতম শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তা প্রবীণ চৌধুরী জানাচ্ছেন, ‘কোভিডে অনেক পরিবারই বাড়ির মহিলাদের হারিয়েছেন। পরে সেই পরিবারগুলিকে অনেক লড়াই করতে দেখা গিয়েছে। সমস্ত বিষয়গুলির দায়িত্ব বাড়ির মহিলাদের উপর থাকে। তাই নতুন করে মহিলাদের জন্য বিমার অর্থ হল একটি পরিবারে মহিলাদের গুরুত্বকে আলাদা করে দেখা। একটি পরিবারে কোনও মহিলার মৃত্যু সেই পরিবারের উপর খরচের বোঝা বাড়িয়ে দেয়।’ আইআরডিএআইয়ের বার্ষিক রিপোর্ট চোখ রাখলে বিমার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নজরে আসবে। ২০১৯-২০ সালে বিমার পেনিট্রেশন ছিল ৩.৭৬ শতাংশ। যা ২০২০-২১ সালে ৪.২০ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। এই বিমা পেনিট্রেশনের মধ্য দিয়ে আদপে জিডিপি ও বিমা প্রিমিয়ামের অনুপাত কত তা জানতে পারা যায়। ওয়াকিবহালব মহলের মতে মানুষ বিমার প্রয়োজনীয়তা বুঝেছে। এই কারণেই সামগ্রিক বিমার প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে। গুরুত্ব পাচ্ছেন মহিলারও, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।