
নয়াদিল্লি: আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে কেন্দ্রীয় বাজেট অধিবেশন। চলবে ১৩ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ পয়লা ফেব্রুয়ারি হবে বাজেট পেশ। আর তার আগে চড়চড়িয়ে দাম বাড়ছে সোনার। পরিস্থিতি সামাল দিতে নির্মলার ম্যাজিকে কী বাঁধ পড়তে পারে সোনার আকাশছোঁয়া গতিতে? মনে আশা বেঁধে বসেছেন মধ্যবিত্তরা।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ন্ত দামে ছাড় না পাওয়া গেলেও, সোনাকে সাধারণের হাতে মুঠোয় আনতে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে চলতি বছরের বাজেটে।
২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের বাজেটে সোনার দাম কমাতে বড় পদক্ষেপ নিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। বাজেটে সোনা, রুপোর মতো একাধিক দামি ধাতুর কাস্টম ডিউটি ৬ শতাংশ পর্যন্ত কমানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। যার মাধ্যমে সোনার দামে খানিক ছাড় পেয়েছিল সাধারণ মানুষ।
কিন্তু সময় বদলেছে, বছরও বদলেছে। এবার পালা নতুন বাজেটের। আর তার আগেই চড়চড়িয়ে বেড়েছে দাম। চলতি বিয়ের মরসুমের আগেই ৮০ হাজারের গন্ডি ছুঁয়ে ফেলেছে পাকা সোনা। এদিন ২৪ ক্যারেট সোনার ১০ গ্রামের দাম রয়েছে ৮২ হাজার টাকায়। আর এই বাড়ন্ত দামের জন্য অর্থমন্ত্রীর দিকে চাতক পাখির মতো চেয়ে আছে সাধারণ জনতা। নতুন বাজেটে কি এই দামি ধাতুতে দেওয়া হবে বাড়তি ছাড়? সেই আশা মনে বেঁধেই অপেক্ষারত মধ্যবিত্ত।
তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বাড়তি ছাড় না মিললেও সাধের সোনাকে সাধারণের কাছে সহজলোভ্য করতে EMI ব্যবস্থা আনতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। শুধুই তা-ই নয়, ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সোনার ব্যবসাকে একক নিয়ন্ত্রকের আওতায় আনতেও আগ্রহী কেন্দ্র।
জানা গিয়েছে, বর্তমানে শুধুই পাকা সোনা বা সোনার গহনা নয়। আরও একাধিক পদ্ধতিতেই সোনা কিনছে মানুষ। যার মধ্যে অন্যতন গোল্ড ইটিএফ, গোল্ড বন্ড ইত্যাদি। এগুলি সবই ডিজিটাল সোনা। যাতে আপাতত এককভাবে নিয়ন্ত্রণে আনতে চায় কেন্দ্র সরকার।