
এপ্রিল মাসেই পারস্পরিক শুল্ক চালু করেছে আমেরিকা। আর তারপরই আমেরিকা বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্যের উপর শুল্ক বসানো শুরু করেছে। আর এই অবস্থায় মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের গভর্নর ক্রিস্টোফার ওয়ালার বলছেন যে এমতাবস্থায় গোটা দেশে জিনিসপত্রের দাম কিছুটা করে বাড়লেও এই বছরের শেষের দিকে আরও একপ্রস্থ রেট কাট করা সম্ভব।
আমদানি কর বৃদ্ধি করায় আমেরিকায় জিনিসপত্রের দাম কিছুটা হলেও বেড়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এর সঙ্গে মুদ্রাস্ফীতির সম্ভাবনার তেমন কোনও যোগ নেই। আর সেই কারণেই দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিওলে দাঁড়িয়ে রেট কাটের সম্ভাবনার কথা বলেছেন ক্রিস্টোফার ওয়ালার।
ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতি নিয়ে গোটা বিশ্ব যখন ভাবিত তখনই, অর্থনীতি ও মুদ্রানীতির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে ওয়ালার এই মন্তব্য করেছেন। অর্থনীতিবিদ, বিশেষজ্ঞ ও ফেডারেল রিজার্ভের সাধারণ কর্মকর্তারা মনে করেন, ট্রাম্পের এই শুল্ক বৃদ্ধি আমেরিকার বেকারত্ব ও মুদ্রাস্ফীতি বাড়িয়ে দেবে। আর এর ফলে, আমেরিকার অর্থনৈতিক বৃদ্ধি মন্থর করে দেবে।
তবে, রিজার্ভের গভর্নর ক্রিস্টোফার ওয়ালারের রেট কাট নিয়ে এই মন্তব্য অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মনোভাবের সঙ্গে খাপ খায় না। ওয়ালার মনে করেন, ট্রাম্পের শুল্ক বাজারে সেভাবে প্রভাব ফেলেনি। বা যেটুকু প্রভাব পড়েছে সেটাও স্বল্পমেয়াদি। তবে, এই বছরের শেষের দিকে ফেডারেল রিজার্ভ রেট কাট করলে ভারতের বাজার থেকে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা তাদের টাকা তুলে নিয়ে আমেরিকায় চলে যেতে পারে। আর এর ফলে এই বছরের শুরুর দিকের মতো ধাক্কা খেতে পারে ভারতের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ।