
মধ্য প্রাচ্যে চলমান সঙ্কট ও তার কারণে অর্থনৈতিক উত্তজনার কারণে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে কিছুটা বেড়েছিল সোনার দাম। তারপর আবারও ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছিল দাম। ‘দ্য নিউইয়র্ক টাইমস’ বলছে চলমান সঙ্কট খুব দ্রুত সমাধান হয়ে যেতে পারে। আর তেমন হলে হু হু করে কমে যেতে পারে সোনার দাম। সিটি ব্যাঙ্ক আবার বলছে আগামী ত্রৈমাসিকেই ১০ গ্রাম ২৪ ক্যারাট সোনার দাম নেমে আসতে পারে ৯১ হাজার ৭৫৫ টাকায়।
সিটি ব্যাঙ্ক বলছে সোনার দাম পৌঁছে গিয়েছিল তার সর্বোচ্চ দরে। কিন্তু ২০২৫ সালের জুন মাস থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে দাম কমতে পারে এই ধাতুর। তারা আরও বলছে ২০২৬ সালে দাম আরও কমতে পারে। ম্যাক্স লেটন ও অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২৬ সালের শেষ দিকে সোনা নেমে আসতে পারে ৭৬ হাজার ৪৬২ থেকে ৮২ হাজার ৫৬৬ টাকার মধ্যে।
কিন্তু কোন জাদুবলে কমতে পারে সোনার দাম? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সোনায় বিনিয়োগের চাহিদা কমে যাওয়া, বিশ্বব্যাপী পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া ও মানুষ ও বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলোর সোনা বিক্রি করে অন্য জায়গায় বিনিয়োগ করা ও আমেরিকান ফেডারেল রিজার্ভের সুদ কমিয়ে দেওয়াই হতে পারে সোনার দাম কমে যাওয়ার প্রধান কারণ।
গত ২/৩ বছরের মধ্যে হু হু করে বেড়েছে সোনার দাম। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পারস্পরিক শুল্ক নীতি, মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইজরায়েল সমস্যার কারণেই ইদানিংকালে বেড়েছিল সোনার দাম। আর তার সঙ্গে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের সোনা কেনাও এই দাম বাড়ায় অন্যতম অবদান রেখেছিল।
কোথাও বিনিয়োগ করতে চাইলে সেই বিষয়ে যথাযথ তথ্যানুসন্ধান ও বিশ্লেষণ করুন। এই লেখা শুধুমাত্র শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে। TV9 বাংলা বিনিয়োগের কোনও উপদেশ দেয় না।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: যে কোনও বিনিয়োগে বাজারগত ঝুঁকি রয়েছে। ফলে, আগে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি সাবধানে পড়ে নেবেন। তারপর বিনিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।