
কেন্দ্রীয় সরকার সমর্থিত স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্প হল সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা (Sukanya Samriddhi Yojana)। এই স্কিমের অধীনে কন্যা সন্তানের বাবা-মায়েরা নিজেদের মেয়ের ভবিষ্যৎ সুদৃঢ় করতে পারেন। এর মাধ্যমে সন্তানের দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক প্রয়োজনীয়তা নিশ্চিত করতে পারেন বাবা-মায়েরা। এই বিনিয়োগ সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত। কন্যা সন্তান ১৪ বছর বয়সে পর্যন্ত বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়। আর কন্যা সন্তানের বয়স ১৮ বছর হওয়ার পরে ম্যাচুরিটির পরিমাণের ৫০ শতাংশ এবং মেয়েটির বয়স ২১ বছর হওয়ার পরে পুরো ম্যাচুরিটির পরিমাণ টাকা তুলতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা।
SSY প্রকল্পে, ভারত সরকার প্রতি বছর ৮ শতাংশ হারে সুদ দিচ্ছে। প্রতি ত্রৈমাসিকে এই সুদের হার পুনর্বিবেচনা করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকার ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে জুন ত্রৈমাসিকের জন্য সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনার বার্ষিক ৮ শতাংশ ইপিআর হার ঘোষণা করেছে। এর আগে তা ছিল বছরে ৭.৬০ শতাংশ। এই বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে ৪০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছে সুদের হার।
সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা ক্যালকুলেটর:
SSY ক্যালকুলেটর অনুসারে, যদি কোনও মা-বাবা তাঁর কন্যা সন্তানের জন্মের পরপরই সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগ শুরু করেন তবে তিনি ১৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করতে পারবেন। কারণ SSY স্কিমে কোনও বিনিয়োগকারীকে তাঁর মেয়ের ১৪ বছর বয়স হওয়া পর্যন্তই টাকা জমা দিতে পারবেন। আয়কর আইনের ৮০ সি ধারা অনুযায়ী এই সঞ্চয় স্কিমে কর ছাড়ও পান বিনিয়োগকারী। যদি কোনও বিনিয়োগকারী প্রতি মাসে ১০,০০০ টাকা করে বিনিয়োগ করেন তবে তিনি ১২ টি সমান কিস্তিতে বার্ষিক ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে পারবেন।
SSY ক্যালকুলেটর অনুযায়ী, যদি কোনও বিনিয়োগকারী তাঁর কন্যা সন্তানের ১৮ বছর হওয়ার পর ম্যাচুরিটি ভ্যালুর ৫০ শতাংশ তুলে না নেন, তবে তিনি প্রায় ৫১ লক্ষ টাকা পাবেন। এই ৫১ লক্ষ টাকার মধ্যে একজনের মোট বিনিয়োগ করা হয়েছে মাত্র ১৮ লক্ষ টাকা। আর ২১ বছর পর সুদের হার হবে ৩৩ লক্ষ টাকা। এখানে ৭.৬০ শতাংশ হারে সুদ ধরেই এই হিসেব করা হল। এই সুদের হার প্রতি ত্রৈমাসিকে পরিবর্তিত হতে থাকে। আর এই হিসেব থেকে দেখা যায়, ধরা যাক কোনও বাবা-মা তাঁদের কন্যা সন্তানের জন্মের পরই সঙ্গে সঙ্গে সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনায় প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে বিনিয়োগ করেন। তাহলে ২১ বছর বয়সে তাঁদের সন্তান লাখপতি হবেন।