কলকাতা: পুলিশ (Police) হোক বা সেনা (Indian Army), দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করার স্বপ্ন দেখেন অনেক যুবক-যুবতীই। কিন্তু দেশের গোয়েন্দা বিভাগে চাকরি? হ্যাঁ এই স্বপ্নও দেখেন অনেকে। আমরা যখন রূপোলি পর্দায় দেখি একজন সিআইডি অফিসার একটা ছোট্ট সূত্র ধরে বড় বড় অপরাধীদের ধরে ফেলছেন। মাথার চুল থেকে শুরু করে হাতের ফিঙ্গারপ্রিন্টের একটা ছোট্ট সূত্র ধরে কুখ্যাত দুষ্কৃতীদের টিকি ছুঁয়ে ফেলছেন তদন্তকারীরা। এই রোমহর্ষক তদন্ত কাহিনী দেখে গায়ে কাঁটা দেয় আমাদের অনেকেরই। শিহরিত হই অনেকেই। কিন্তু কীভাবে হতে পারে ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট বা সিআইডিতে চাকরির (Jobs in CID) স্বপ্ন পূরণ?
সিআইডি মূলত রাজ্য পুলিশেরই একটি উচ্চতর শাখা। কোনও মামলার গুরুত্বের বিচারে পুলিশের হাত থেকে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় সিআইডির হাতে। তবে সিআইডি-তে কাজ করার জন্য নূন্যতম যোগ্যতা হিসাবে অবশ্য়ই কোনও প্রার্থীকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করতেই হবে। পুলিশে যেমন, কন্সটেবল, ইন্সপেক্টর, ডিএসপি, এসপি, ডিআইজি সহ বিভিন্ন পদ হয়, সেরকমই সিডিআইডি-র ক্ষেত্রেও রয়েছে নানা পদ। সিডিআইডি-র ক্ষেত্রে সবথেকে নীচের পদ হিসাবে রয়েছে কনস্টেবল। এই পদে চাকরির জন্য উচ্চমাধ্যিক পাশ করলেই আবেদন করা যায়। তবে এর থেকে উচ্চতর যে পদ গুলিতে রয়েছে সেগুলিতে চাকরির জন্য শুধু উচ্চমাধ্যমিকে কাজ চলবে না, পাশ করতে হবে স্নাতক। তবে আর্ট, সায়েন্স, কমার্স সহ সকল শাখার ছাত্রছাত্রীরাই এখানে চাকরির আবেদন করতে পারেন।
তবে জেনারেল ক্যাটেগরির প্রার্থীদের ক্ষেত্রে চাকরির জন্য নূন্যতম ২০ বছর ও সর্বোচ্চ ২৭ বছর বয়স হওয়া প্রয়োজন। অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি বা ওবিসি তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ৩০। সেখানে তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমার ক্ষেত্রে ৫ বছরের অতিরিক্ত ছাড় থাকছে। একইসঙ্গে এখানে চাকরির জন্য কিছু শারীরিক যোগ্যতামানও থাকা প্রয়োজন রয়েছে। তবে সিআইডি-তে নিয়োগের যে পরীক্ষা হয় সেখানে বাংরবার পরীক্ষা দিতে পারবেন না কোনও প্রার্থীই। জেনারেল ক্যাটেগরির প্রার্থীরা এই ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৪ বার সুযোগ পান। ওবিসি-দের ক্ষেত্রে এই সুযোগ ৭ বার। তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা যতদিন রয়েছে ততদিনই দেওয়া যাবে পরীক্ষা।