Cosmetic Chemist: মেকআপ-স্কিন কেয়ার আগ্রহ, কেমিস্ট্রি ভাল লাগে? হতে পারেন কসমেটিক কেমিস্ট

Cosmetic Chemist: ভারতে এবং গোটা বিশ্বেও, প্রসাধনী বাজারে কেরিয়ার গড়লে দ্রুত উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে কসমেটিক কেমিস্ট বা প্রসাধনী রসায়নবিদদের চাহিদা, এই মুহূর্তে প্রবল। কিন্তু কাকে বলে কসমেটিক কেমিস্ট? তার কাজটাই বা কী? কীভাবে এই দিকে কেরিয়ার গড়বেন?

Cosmetic Chemist: মেকআপ-স্কিন কেয়ার আগ্রহ, কেমিস্ট্রি ভাল লাগে? হতে পারেন কসমেটিক কেমিস্ট
প্রতীকী ছবিImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Nov 13, 2023 | 10:12 AM

২০২৩ আর্থিক বর্ষে ভারতের কসমেটিক্স বা প্রসাধনী পণ্য়ের বাজারে আয়ের পরিমাণ ছিল ৬২৭ কোটি মার্কিন ডলার, অর্থাৎ, ভারতীয় মুদ্রায় ৫২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। তথ্য ও ব্যবসায়িক পরামর্শদাতা সংস্থা ‘স্ট্যাটিস্টা’র অনুমান, চলতি আর্থিক বর্ষে এই বাজার ২.৮৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। কাজেই বোঝা যাচ্ছে, ভারতে এবং গোটা বিশ্বেও, প্রসাধনী বাজারে কেরিয়ার গড়লে দ্রুত উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে কসমেটিক কেমিস্ট বা প্রসাধনী রসায়নবিদদের চাহিদা, এই মুহূর্তে প্রবল। কিন্তু কাকে বলে কসমেটিক কেমিস্ট? তার কাজটাই বা কী? কীভাবে এই দিকে কেরিয়ার গড়বেন? আসুন, জেনে নেওয়া যাক –

কসমেটিক কেমিস্ট কী করেন?

কসমেটিক কেমিস্টকে কসমেটিক সায়েন্টিস্ট এবং মেকআপ কেমিস্টও বলা হয়। পরীক্ষাগারে তাঁরা বিভইন্ন মেকআপ এবং প্রসাধনী পণ্য তৈরির রাসায়নিক সূত্রগুলি তৈরি করেন। নেইলপলিশ, লিপস্টিক, লোশন, শ্যাম্পু, সানস্ক্রিন, বডি ওয়াশ ইত্যাদি সব পণ্যই তাঁদের সূত্র মেনেই তৈরি করা হয়। তাই, মেকআপ এবং স্কিন কেয়ারে আগ্রহী এবং রসায়নে ডিগ্রি আছে যাদের, তাদের জন্য কসমেটিক কেমিস্টের কেরিয়ার একেবারে উপযুক্ত।

কীভাবে হবেন কসমেটিক কেমিস্ট?

কসমেটিক কেমিস্টের চাকরি পেতে গেলে নীচের ধাপগুলি অনুসরণ করা প্রয়োজন –

১. সবার আগে লাগবে বিজ্ঞান নিয়ে স্নাতক ডিগ্রি। রসায়নে স্নাতক হলে সবথেকে ভাল। তবে, কেমিক্যাল এঞ্জিনিয়ারিং কিংবা মাইক্রোবায়োলজি, জীববিদ্যা বা পদার্থবিদ্যায় স্নাতক হলেও এই পথে পা বাড়ানো যায়।

২. যে সংস্থআগুলি কসমেটিক কেমিস্ট নিয়োগ করে, তারা রসায়ন বা সম্পর্কিত ক্ষেত্রে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বা পিএইচডিধারীদের অগ্রাধিকার দেয়। কাজেই শুধু স্নাতক হলেই হবে না, চাকরির সুযোগ বাড়াতে, লাগবে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও।

৩. ডিগ্রি লাভের পালা মেটার পর, কোনও গবেষণাগারে ল্যাব টেকনিশিয়ান হিসাবে অভিজ্ঞতা অর্জন করুন। কোনও ল্যাবরেটরিতে পেশাগত অভিজ্ঞতা আপনাকে কসমেটিক কেমিস্ট হতে অনেক দূর এগিয়ে দেবে। ল্যাব টেকনিশিয়ান হিসাবে কাজ করা আপনাকে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি হাদতে কলমে পরিচালনার প্রশিক্ষণ দেবে। অভিজ্ঞ বিজ্ঞানীদের কাছ থেকে আরও অনেক কিছু শেখার সুযোগ থাকে।

বিউটি ইন্ডাস্ট্রিতে কী কী ধরনের চাকরি পাওয়া যায়?

কসমেটিক ফর্মুলেটর: কোন কোন উপাদান মিশিয়ে কোনও প্রসাধনী পণ্য তৈরি করা হবে, তার বৈজ্ঞানিক সূত্র তৈরি করেন কসমেটিক ফর্মুলেটররা।

কোয়ালিটি কন্ট্রোল কেমিস্ট: প্রসাধনী পণ্যগুলি মান নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্ধারিত মানদণ্ডগুলি পূরণ করছে কিনা, তা দেখার দায়িত্ব থাকে কোয়ালিটি কন্ট্রোল কেমিস্টদের। এর জন্য তাদের প্রতিদিনের পণ্যগুলির নিয়মিত পরীক্ষা এবং ল্যাব সরঞ্জাম এবং উপকরণগুলির পরিদর্শন করতে হয়।

সেলস: কসমেটিক কেমিস্টদের নিয়োগ করে থাকে প্রসাধনী পণ্যের কাঁচামাল সরবরাহকারী সংস্থাগুলিও। বিভিন্ন সংস্থার ফর্মুলেটরদের কাছে, তাদের পণ্য সম্পর্কে বলার জন্য এই কেমিস্টদের নিয়োগ করা হয়।

গবেষণা বিশ্লেষক: বর্তমানে সৌন্দর্য ক্ষেত্রে কী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, উপভোক্তারা কোন পণ্যগুলি কিনছেন, সেই বিষয়ে গবেষণার কাজও পেতে পারেন কসমেটিক কেমিস্টরা। কোন ধরনের পণ্য উৎপাদন করলে সংস্থার লাভ হবে, তা বিশ্লেষণ করা এবং বাজার সম্পর্কে জানার জন্য গবেষণা করাটাই হবে তাদের কাজ।