Pharmacists: ফার্মাসিস্টদের জন্যও রয়েছে আকর্ষণীয় কেরিয়ার! কী ভাবে এগোবেন?

Pharmacists: ওষুধের দোকানের লাইসেন্স হয় একজন ফার্মাসিস্টের নামেই। আপনারও ওষুধ নিয়ে পড়াশোনা করতে, জানতে বেশি ভাল লাগে? বড় হয়ে এই বিষয়ে কেরিয়ার গড়তে চান? ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার তো সবাই হতে চান। ফার্মাসিস্টের কদর কিন্তু কিছু কম নয়। কিন্তু ফার্মাসিস্ট হতে গেলে কী যোগ্যতার প্রয়োজন? রইল বিস্তারিত।

Pharmacists: ফার্মাসিস্টদের জন্যও রয়েছে আকর্ষণীয় কেরিয়ার! কী ভাবে এগোবেন?
Image Credit source: kate_sept2004/E+/Getty Images

Aug 05, 2025 | 2:05 PM

ফার্মাসিস্ট (Pharmacist) স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এক অবিচ্ছেদ্য এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ডাক্তারদের কাজ রোগ নির্ণয় করে ওষুধ দেওয়া। ওষুধ সংক্রান্ত জ্ঞান, তার প্রয়োগ ডাক্তার কী পরামর্শ দিচ্ছেন তা বুঝে রোগীকে সহজ ভাবে বুঝিয়ে দেওয়া, সঠিক ওষুধ ব্যবহারে সাহায্য করাই মূলত কাজ এক ফার্মাসিস্টের। নিয়ম অনুসারে প্রত্যেক ওষুধের দোকানে ফার্মাসিস্ট থাকাটা আবশ্যক। তাই ওষুধের দোকানের লাইসেন্স হয় একজন ফার্মাসিস্টের নামেই। আপনারও ওষুধ নিয়ে পড়াশোনা করতে, জানতে বেশি ভাল লাগে? বড় হয়ে এই বিষয়ে কেরিয়ার গড়তে চান? ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার তো সবাই হতে চান। ফার্মাসিস্টের কদর কিন্তু কিছু কম নয়। কিন্তু ফার্মাসিস্ট হতে গেলে কী যোগ্যতার প্রয়োজন? রইল বিস্তারিত।

১. ফার্মাসিস্ট হওয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে উচ্চমাধ্যমিক (১০+২) পাশ করতেই হবে। মনে রাখবেন মাধ্যমিকের পরে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পড়াশোনা করার সময় বিজ্ঞান বিষয় থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। সাব্জেক্ট কম্বিনেশনে থাকতে হবে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, বায়োলজি এবং অঙ্ক। উচ্চমাধ্যমিকে ভাল নম্বর পাওয়া ভবিষ্যতের কলেজে ভর্তির জন্য সহায়ক।

ফার্মাসি কোর্স দু’ধরনের হয়। Diploma বা Degree।

Diploma in Pharmacy (D.Pharm) –

এই কোর্স শেষ করার সময় সীমা ২ বছর। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা এই কোর্সের ভর্তির চেষ্টা করতে পারেন। পশ্চিমবঙ্গে D.Pharm-এ ভর্তির জন্য সাধারণত JEXPO বা কলেজভিত্তিক মেধাতালিকা হয়। এই কোর্সে পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত থাকে ফার্মাকোলজি, ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি, ওষুধ তৈরি, ওষুধ সংরক্ষণ ইত্যাদি নানা বিষয়।

কোর্স শেষ হলে রাজ্য ফার্মাসি কাউন্সিলে রেজিস্ট্রেশন করিয়ে সরকারি ও বেসরকারি ফার্মেসিতে চাকরি করা যেতে পারে। নিজের নামে লাইসেন্স বার করে ওষুধের দোকান খুলতেও পারেন।

Bachelor of Pharmacy (B.Pharm) –

এই কোর্সের সময়সীমা একটু বেশি। ৪ বছরের স্নাতক কোর্স। B.Pharm করার জন্য উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০% নম্বর সহ Physics, Chemistry এবং Biology বা Maths-এ ভাল নম্বর পেতে হবে।

পশ্চিমবঙ্গে WBJEE (West Bengal Joint Entrance Exam) দিয়ে B.Pharm-এ ভর্তি হতে হয়। এই কোর্সে পাঠ্যক্রমে ওষুধের উৎপাদন, সংরক্ষণ, ক্লিনিকাল ফার্মাসি, হসপিটাল ফার্মাসি, ফার্মাসিউটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে।

কোর্স শেষ হলে সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতাল, ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি, গবেষণা সংস্থা, রিটেল চেইন ইত্যাদিতে কাজের সুযোগ মেলে।

আরও পড়াশোনা করতে চাইলে উচ্চশিক্ষা হিসেবে M.Pharm, MBA in Pharmaceutical Management বা Clinical Research নিয়ে পড়াশোনা করা যায়।

ফার্মাসিস্ট হিসেবে সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট পদে চাকরির সুযোগ রয়েছে। আছে ওষুধ কোম্পানিতে মার্কেটিং, কোয়ালিটি কন্ট্রোল, উৎপাদন ইত্যাদি ক্ষেত্রে কাজ। এমনকি নিজস্ব মেডিসিন দোকান খোলার সুযোগও।

পশ্চিমবঙ্গে এই সব বিষয় পড়াশোনার করার বহু প্রতিষ্ঠান থাকলেও তার মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য হল –

১। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে রয়েছে B.Pharm কোর্স।

২। বিসিডিএ কলেজ অব ফার্মাসি অ্যান্ড টেকনোলজি। এখানে রয়েছে D.Pharm, B.Pharm, দুই কোর্স।

৩। এনএসএইচএম নলেজ ক্যাম্পাস। রয়েছে B.Pharm কোর্স।

৪। ইনস্টিটিউট অব ফার্মাসি, জলপাইগুড়ি। এতে রয়েছে D.Pharm-এর কোর্স।

৫। B.Pharm পড়তে পারেন কল্যাণী সরকারি ফার্মাসি কলেজে।