
নয়া দিল্লি: পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন মিটতেই শুরু হয়েছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। আর অধিবেশন শুরুর দুই দিনের মধ্যেই ইস্তফা দিলেন ১২ জন বিজেপি সাংসদ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার থেকে শুরু করে প্রহ্লাদ পটেল, রাকেশ সিং, উদয় প্রতাপ সিং, রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর, কিকোরি লাল মীনা, দিয়া কুমারী সহ মোট ১২ জন সাংসদ বুধবার একসঙ্গে ইস্তফা দেন সংসদ থেকে। হঠাৎ বিজেপি বিধায়কদের ইস্তফা ঘিরে শুরু হয়েছিল জল্পনা, সেই জল্পনাকে আরও উসকেই রাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করলেন তাঁরা। সূত্রের খবর, সদ্য জেতা তিন রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রী হিসাবে বাছাই করা হবে এই সাংসদদের, সেই কারণেই তাঁরা ইস্তফা দেন সংসদ থেকে।
৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তীসগঢ়ে জয়ী হয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস জয়ী হয়েছে কেবল তেলঙ্গানায়। আজ তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন রেবন্ত রেড্ডি। এদিকে, বিজেপি এখনও মুখ্যমন্ত্রীর মুখই বেছে উঠতে পারেনি। শীর্ষ নেতৃত্ব ঘনঘন বৈঠকে বসলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি এখনও।
বুধবার যে ১২ সাংসদ নিজেদের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন, তাঁরা রাতেই প্রধানমন্ত্রী মোদীর বাসভবনে গিয়ে দেখা করেন। প্রায় ঘণ্টাখানেক বৈঠক চলে। বিজেপি সূত্রে খবর, সাংসদদের সঙ্গে এই বৈঠকের পরই তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রী বাছাইয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
তিন রাজ্যেই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নতুন মুখ আনতে চায় বিজেপি। এমনটাই সূত্রের খবর। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই এই ভাবনাচিন্তা। মুখ্যমন্ত্রী বাছাই নিয়ে রবিবার থেকেই বৈঠকে বসছেন শীর্ষ নেতৃত্বরা।
অন্যদিকে সূত্রের দাবি, প্রধানমন্ত্রী মোদী জাতভিত্তিক নয়, বরং শ্রেণির ভিত্তিতে মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীদের বাছতে চান। ছত্তীসগঢ়ের জন্য কোনও আদিবাসী নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ভাবা হচ্ছে। মধ্য প্রদেশের জন্য ওবিসি এবং রাজস্থানের জন্য রাজপুত কোনও জনপ্রতিনিধিকে বেছে নেওয়া হতে পারে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে। যুব সম্প্রদায়, মহিলাদেরই মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেওয়া হতে পারে। মন্ত্রী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিজেপি এটাও নজরে রাখছে যে নির্বাচিত প্রতিনিধি যেন বিতর্কিত মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকে।