Uluberia: ‘বারবার বোঝালাম কিচ্ছু হবে না…’, তালিকায় নাম থেকেও কোন ভয়ে নিজেকে শেষ করে ফেললেন জাহির!
SIR In WB: স্ত্রী-সন্তান-সংসার ছেড়ে তাঁকে চলে যেতে হবে ভেবে ভেঙে পড়েছিলেন। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে অনেক বুঝিয়েছিলেন। কিন্তু কাজ হয়নি। ঘরের ভিতর থেকে একদিন উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। মঙ্গলবার খসড়া তালিকা প্রকাশিত হল। তাতে দেখা গেল জ্বলজ্বল করছে জাহির মালের নাম। ঘটনাটি ঘটেছে রাজাপুরের খলিসানি পঞ্চায়েতে ৭ নম্বর বুথে।

উলুবেড়িয়া: ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম ছিল না। পাড়ার দোকান থেকে চায়ের ঠেক, বাজার যেখানেই যেতেন, সেখান থেকেই শুনে আসতেন ২০০২ সালে ভোটার তালিকায় নাম না থাকলে চাপ রয়েছে। বঙ্গে যখন এসআইআর নিয়ে ‘আতঙ্কে’র পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, তাতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন জাহিরও। তারই মধ্যে আবার সংবাদে এসআইআর আতঙ্কে মৃত্যুর খবর শুনছিলেন। অবসাদ গ্রাস করেছিল তাঁকে। স্ত্রী-সন্তান-সংসার ছেড়ে তাঁকে চলে যেতে হবে ভেবে ভেঙে পড়েছিলেন। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে অনেক বুঝিয়েছিলেন। কিন্তু কাজ হয়নি। ঘরের ভিতর থেকে একদিন উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। মঙ্গলবার খসড়া তালিকা প্রকাশিত হল। তাতে দেখা গেল জ্বলজ্বল করছে জাহির মালের নাম। ঘটনাটি ঘটেছে রাজাপুরের খলিসানি পঞ্চায়েতে ৭ নম্বর বুথে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজাপুর থানার খলিসানি পঞ্চায়েতে সাত নম্বর বুথে এসআইআর আতঙ্কে আত্মঘাতী হয়েছিলেন জাহির মাল। মঙ্গলবার খসড়া ভোটার তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে। তবে তিনি মৃত বলে তালিকায় আলাদাভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
জাহিরের স্ত্রী রোজিনা বলেন, “সারাদিন মোবাইল ওই সব খবর ঘাটত। আর ভয় পেত। আমরা কত বুঝিয়েছিলাম। যেখানেই যেত, ওই সব নিয়ে কথা বলত আর ভিতরে ভিতরে টেনশন করত। মোবাইলে ফেক খবর দেখে, সে সবসময় ভাবতো যেহেতু তার নাম ২০০২ সালে ভোটার তালিকায় নাম নেই, তাই বাংলাদেশি বলে দেশছাড়া হবে।”
জাহিরের মা রাবিয়া বিবি বলেন, “বারবার তাঁকে বুঝিয়েছিলাম ভোটার তালিকার নাম না থাকলেও তোর বাবা মায়ের নাম আছে, তোর কিছু হবে না। কারও কথা না শুনে আত্মঘাতী হল। আজ তিন ছেলে মেয়ে বউ সংসার সব ভেসে যাচ্ছে।”
