AIMIM: শীতবস্ত্র-কম্বল! একেবারেই অন্য ধারায় রন্ধ্রে প্রবেশ করছে ‘মিম’

AIMIM- Dankuni: ডানকুনিতে মিমের কর্মসূচি থেকে নেতা কর্মীদের স্পষ্ট বার্তা কেবল সভা-সমাবেশ নয়, বরং জন সেবামূলক কাজের মাধ্যমে নীচুতলার মানুষের কাছে পৌঁছতে চাইছেন তাঁরা। আগামী দিনে রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তেও মিম এই ধরনের কর্মসূচির মধ্য দিয়েই সংগঠন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও মিমের এই কর্মসূচি নিয়ে এ রাজ্যের শাসক, বিরোধী কেউই তেমন আমল দিচ্ছেন না।

AIMIM: শীতবস্ত্র-কম্বল! একেবারেই অন্য ধারায় রন্ধ্রে প্রবেশ করছে মিম
মিমে শীতবস্ত্র প্রদানImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Dec 29, 2025 | 1:48 PM

হুগলি:  কোনও সভা-সমাবেশ, মাইকিং নয়। শীতে দুঃস্থদের কম্বল, শীতবস্ত্র প্রদান।
হুগলিতে মিমের কর্মসূচি ঘিরে রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে। রাজনৈতিক মহল বলছে, ‘মিমের’ বাড়বাড়ন্তে কি তৃণমূলের ওপর চাপ বাড়ছে? ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে এরাজ্যে বিভিন্ন জেলায় কর্মসূচি শুরু করে দিয়েছে মিম। এবার হুগলির ডানকুনিতেও শীত বস্ত্র প্রদান অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মিমের কর্মসূচি ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা।

রাজ্যে আসন্ন ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে হুগলি জেলায় আবার নতুন করে বিস্তার করছে আসাউদ্দিন ওয়াইসির দল ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (AIMIM)। অভিজ্ঞদের কথায়, আসলে রবিবার হুগলির ডানকুনিতে একটি সেবামূলক কর্মসূচির আড়ালে রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের ইঙ্গিত দেয় মিম নেতৃত্ব।

রবিবার ডানকুনির ৪নং ওয়ার্ডের আকডাঙ্গা এলাকায় মিমের পক্ষ থেকে দুঃস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণের আয়োজন করা হয়। তবে অনুষ্ঠানটি কেবল সমাজসেবার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। উপস্থিত মিম নেতারা সাধারণ মানুষের কাছে দলের আদর্শ তুলে ধরেন এবং দলীয় পতাকা হাতে তুলে নিয়ে সংগঠনে যোগ দেওয়ার প্রকাশ্য আহ্বান জানান।সেখানে বেশ কিছু মানুষ মিমে যোগদান ও করেন।

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মিম রাজ্যে প্রার্থী দিলেও তেমন কোনও ছাপ ফেলতে পারেনি। তবে ২০২৬ এর নির্বাচনের আগে ফের তাঁদের এই সক্রিয়তা শাসক,বিরোধী-উভয় শিবিরের জন্যই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে মিম যদি নিজেদের সংগঠন মজবুত করতে পারে, তবে তা ভোটের সমীকরণে বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

ডানকুনিতে মিমের কর্মসূচি থেকে নেতা কর্মীদের স্পষ্ট বার্তা কেবল সভা-সমাবেশ নয়, বরং জন সেবামূলক কাজের মাধ্যমে নীচুতলার মানুষের কাছে পৌঁছতে চাইছেন তাঁরা। আগামী দিনে রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তেও মিম এই ধরনের কর্মসূচির মধ্য দিয়েই সংগঠন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও মিমের এই কর্মসূচি নিয়ে এ রাজ্যের শাসক, বিরোধী কেউই তেমন আমল দিচ্ছেন না।

তবে মিম কে বিজেপির বি-টিম বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল, স্থানীয় তৃণমূল নেতা জিয়ারুল আকন বলেন, “বাংলার মানুষের সুখ দুঃখে তাঁদের দেখা যায় না।ভোট আসলেই দেখা যায়,ভোট কাটাকাটি করে বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতে আসছে। একুশের নির্বাচনে ছাপ ফেলতে পারেনি, ছাব্বিশেও পারবে না।”

AIMIM পশ্চিম বর্ধমানের সভাপতি দানিশ  আজিজ বলেন, “ত্রিপুরা, গোয়াতে কারা বিজেপির বি-টিম হয়ে কাজ করেছিল, বিজেপির বি-টিম আসলে তৃণমূল।”

বিজেপি নেতা কৃষ্ণেন্দু মিত্র বলেন, “তৃণমূল বলে বিজেপি সংখ্যালঘু বিরোধী, আবার বলছে মিম বিজেপির বি টিম। আসলে রাজনৈতিক দল বুঝতে পেরেছে, তাদের  অবস্থা খুব খারাপ, তাই মিম-কে দিয়ে ভোট কাটানোর চেষ্টা করছে।”