
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন অভিনেত্রী পার্নো মিত্র। শুক্রবার তৃণমূল ভবনে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও জয়প্রকাশ মজুমদারের উপস্থিতিতে রাজ্যের শাসকদলে যোগ দেন পার্নো। তৃণমূলে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করলেন। পার্নো বললেন, “আমার নতুন পথ চলা শুরু হল।”
পার্নো মিত্র
ভোটের আর মাস চারেক বাকি। তার আগে টলিপাড়ায় ফের দলবদলের ছায়া। এবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের পথে অভিনেত্রী পার্নো মিত্র। ২০১৯ সালের জুলাইয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বরাহনগর কেন্দ্রে প্রার্থীও হন। তবে তৃণমূলের প্রার্থী তাপস রায়ের কাছে হেরে যান। তাপস রায় এখন বিজেপিতে। আর পার্নো মিত্র যোগ দিতে চলেছেন তৃণমূলে।
এসআইআর-এ হিয়ারিংয়ে নোটিস পেয়েছিলেন। তারপরই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বল বৃদ্ধের। পরিবারের দাবি, এসআইআর আতঙ্কেই মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম আলম খান (৬৫)। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা দু’নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুর দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের মহেশপুরের। আলম খান রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। বাড়িতে শুধু তাঁর স্ত্রী রয়েছে। কোনও সন্তান নেই। গতকাল বিএলও হিয়ারিংয়ের জন্য় নোটিস দিয়ে আসেন আলম খানকে। পরিবারের বক্তব্য, তারপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন আলম।
দুই ছেলে এবং এক মেয়ের নামে SIR-এর হিয়ারিংয়ের নোটিস এসেছে। আর তারই চিন্তাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের বাবার। এমনই অভিযোগ পরিবারের। বীরভূমের সাঁইথিয়া থানার দক্ষিণ সৃজা গ্রামের ঘটনা। মৃতের নাম মালেক শেখ। বেশ কয়েক বছর ধরে উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে কাজ করতেন তিনি। তাঁর ভোটার কার্ড বারাণসীর। বাংলায় ২০০২ সালের ভোটার তালিকাতে তাঁর নাম ছিল না। তাঁর ৩ সন্তানকে হিয়ারিংয়ে ডেকে পাঠানো হয়েছে। কয়েকদিন আগে বাড়ি এসেছিলেন মালেক শেখ। পরিবারের দাবি, সন্তানদের হিয়ারিংয়ে ডেকে পাঠানোর পর থেকে আতঙ্কে ছিলেন মালেক শেখ। তারপরই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়।
পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে খসড়া তালিকায় ভুয়ো ভোটারের নাম থাকা অভিযোগ বিজেপির। তালিকায় যাদের নাম দেখা যাচ্ছে, তারা কেউই গ্রামের নয় বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। পরপর চারটি বুথে খসড়া তালিকায় অপরিচিতদের নাম থাকায় শোরগোল এলাকায়। তৃণমূলও বলছে, তারা চেনে না। মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরীর দাবি, তৃণমূলকে বদনাম করার জন্যই এই চক্রান্ত করেছে বিজেপি। এই চারটি বুথের BLO-রা জানিয়েছেন, কেউ অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ করেছেন। কেউ নতুন ভোটার হওয়ায় বুথ সঠিক না লেখায় অন্য বুথে নাম এসেছে। কারও এন্ট্রি করতে ভুল হওয়ায় এই সমস্যা হয়েছে। ওই ভোটাররা অন্য বুথের বাসিন্দা। তাঁদের নাম সংশোধনের তালিকায় রয়েছে বলে বিএলও-রা জানান। এই বিষয়ে কাটোয়ার মহকুমাশাসক অনির্বাণ বসু জানিয়েছেন, অভিযোগ অনুযায়ী নাম থাকা ব্যক্তিদের ডাকা হবে।বিষয়টি জেনে পদক্ষেপ করা হবে।
খণ্ডঘোষের তৃণমূল বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগ
২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম ছিল। খসড়া ভোটার তালিকায়ও নাম রয়েছে। তারপরও এসআইআর প্রক্রিয়ায় শুনানির জন্য তলব করা হল খণ্ডঘোষের তৃণমূল বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগের মা, ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রীকে। নির্বাচন কমিশনের এই নোটিস ঘিরে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন খণ্ডঘোষের তৃণমূল বিধায়ক। মানসিকভাবে হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন। তৃণমূল বিধায়ক বলছেন, শুনানিতে ডেকে পাঠানোয় তাঁর মা আতঙ্কে রয়েছেন। পাল্টা তৃণমূল বিধায়ককে নিশানা করেছে বিজেপি।
বিস্তারিত: তৃণমূলের বিধায়কের মা-ভাইকে SIR-র শুনানিতে ডাক, বিস্ফোরক অভিযোগ
শনিবার থেকে এসআইআর প্রক্রিয়ার শুনানি শুরু। আর আগে শুক্রবার রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি ও নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের বিধায়ক, সাংসদ মিলিয়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি নেতা এই ভার্চুয়াল বৈঠক অংশ নেবেন। জানা গিয়েছে, এদিনের ভার্চুয়াল বৈঠকের আলোচ্য বিষয় উন্নয়নের পাঁচালি। মমতা সরকারের উন্নয়ন প্রচার ও মহিলাদের ভোট। শিল্পী ইমন চক্রবর্তী উন্নয়নের পাঁচালির প্রচার সঙ্গীতটি গেয়েছেন। ভার্চুয়াল বৈঠকে এই কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করবেন অভিষেক। মহিলা ভোটব্যাঙ্ককে মাথায় রেখে এই প্রচার কর্মসূচি রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এদিন ভার্চুয়াল বৈঠকে অভিষেক কী বার্তা দেন, সেদিকে তাকিয়ে ঘাসফুল শিবির।
নির্ঘণ্ট ঘোষণা না হলেও ভোটের রণকৌশল তৈরিতে ব্যস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। বাড়ছে রাজনৈতিক তরজাও। আবার এসআইআর প্রক্রিয়ায় শুনানিতে তলব নিয়েও চাপানউতোর বাড়ছে। বৈধ ভোটারদের নাম যাতে বাদ না যায়, সেদিকে নজর রাখতে দলের নেতাদের নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। আবার অবৈধভাবে কোনও ভোটারের নাম যাতে তালিকায় রয়ে না যায়, তা নিয়ে তৎপর বিজেপি। রাজ্য রাজনীতিতে ঘটনার ঘনঘটা। ঘটনার লাইভ আপডেট পান টিভি৯ বাংলায়।