SIR in Bengal: কাকলি ঘোষ দস্তিদারের ২ পুত্র-সহ পরিবারের ৪ জনকে হিয়ারিংকে ডাকল কমিশন, ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল সাংসদ

Kakoli Ghosh Dastidar: এসআইআর প্রক্রিয়া তাড়াহুড়ো করে করা হচ্ছে বলে প্রথম থেকেই সরব তৃণমূল। ২ বছরের কাজ কেন ২ মাসে করা হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এসআইআরের খসড়া তালিকা প্রকাশের পর থেকে নানা অসঙ্গতি সামনে আসছে। ডানকুনির পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর সূর্য দে-র নামের পাশে মৃত লেখা।

SIR in Bengal: কাকলি ঘোষ দস্তিদারের ২ পুত্র-সহ পরিবারের ৪ জনকে হিয়ারিংকে ডাকল কমিশন, ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল সাংসদ
কী বললেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার?

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Dec 27, 2025 | 12:44 PM

বারাসত: খসড়া তালিকাতে নাম নেই। এসআইআর প্রক্রিয়ায় শুনানিতে ডাকা হল বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের দুই পুত্রকে। এমনকি, শুনানিতে হাজির হওয়ার জন্য নোটিস পাঠানো হয় তৃণমূল সাংসদের মা ও বোনকে। এই নিয়ে সরব হয়েছেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। এসআইআর প্রক্রিয়া আদৌ ঠিকভাবে হচ্ছে কি না, সেই প্রশ্ন তুললেন তিনি। জানা গিয়েছে, সাংসদদের পরিবারের ওই সদস্যরা এদিন বিডিও অফিসে যেতে পারেন।

এসআইআর প্রক্রিয়া তাড়াহুড়ো করে করা হচ্ছে বলে প্রথম থেকেই সরব তৃণমূল। ২ বছরের কাজ কেন ২ মাসে করা হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এসআইআরের খসড়া তালিকা প্রকাশের পর থেকে নানা অসঙ্গতি সামনে আসছে। ডানকুনির পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর সূর্য দে-র নামের পাশে মৃত লেখা।

আবার খণ্ডঘোষের তৃণমূল বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগের মা, ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রীকে শুনানিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। এবার শুনানির জন্য ডেকে পাঠানো হল কাকলি ঘোষ দস্তিদারের দুই পুত্র, মা ও বোনকে। কাকলি ২০০৯ সাল থেকে লোকসভার সাংসদ। একজন সাংসদের পরিবারের সদস্যদের যদি ডেকে পাঠানো হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা, সেই প্রশ্ন তোলেন বারাসতের সাংসদ।

পরিবারের সদস্যদের নাম বাদ যাওয়া নিয়ে কী বললেন বারাসতের সাংসদ?

টিভি৯ বাংলাকে কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, “খসড়া তালিকা দেখতে গিয়ে দেখা যায়, আমার দুই ছেলের নাম নেই। তাদের হিয়ারিংয়ে ডেকে পাঠিয়েছে। তাদের বাবা (রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার) একজন প্রাক্তন মন্ত্রী। আমি চারবারের সাংসদ। দুই পুত্র সরকারি চাকুরে। হিয়ারিংয়ে যাবে। কিন্তু, কীভাবে এসআইআর হচ্ছে, তা সহজেই অনুমেয়। প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ, যাদের এত যোগাযোগ নেই, হিয়ারিংয়ে কী চাইছে জানে না, তাদের তো হেনস্থা করা হচ্ছে। জবরদস্তি নাম বাদ দিয়ে বিপদে ফেলার চেষ্টা। আমার মা ও বোন অন্য বুথের ভোটার। তাদেরও নাম নেই।”

তবে ওই বুথের বিএলও কপিল আনন্দ হালদারের বক্তব্য, “সাংসদের পরিবারের সবার নাম রয়েছে খসড়া তালিকা। অন্য কোনও সংশোধনের জন্য হয়তো ডাকা হয়ে থাকতে পারে।” কাকলি ঘোষ দস্তিদারের অভিযোগ নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “হেনস্থা করার হলে তো সাংসদকে ডাকা হত। আর উনি কি মঙ্গল গ্রহ থেকে এসেছেন? এত লোককে ডাকা হয়েছে। আর উনি বলছেন, হেনস্থা করা হচ্ছে।”