
খসড়া তালিকায় নাম আসেনি। নিজের নাম খুঁজে পেয়েছেন যে তালিকায় ড্রাফটের নাম নেই, সেখানে। অর্থাৎ এই মুহূর্তে আপনি হারিয়েছেন আপনার ভোটাধিকার। নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক সুব্রত গুপ্ত বলছেন, এমতাবস্থায় ফর্ম ৬ ফিলআপ করতে। আর তারপর হিয়ারিংয়ে যেতে। সেখানে বৈধ নথি দেখালেই আপনি ফিরে পাবেন আপনার ভোটাধিকার।
এই তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে তাদের নামের পাশে লেখা রয়েছে কেন তাদের নাম নেই ড্রাফট লিস্টে। কারও কারণ যেমন মৃত, কারও ক্ষেত্রে অন্যত্র স্থানান্তরিত। আবার কারও ক্ষেত্রে লেখা খুঁজে পাওয়া যায়নি। কিন্তু এই তালিকার বাইরে, অর্থাৎ ড্রাফট লিস্টে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে কী হবে?
কমিশন সূত্রে খবর যাঁদের নাম ড্রাফট তালিকায় রয়েছে তাঁদের যদি কমিশন সন্দেহ করে, তাহলেই তাঁদের ডেকে পাঠাবে হিয়ারিংয়ের জন্য। আর সেই ব্যক্তিদের ঠিক কোন তথ্যের গরমিলের জন্য বা কোন কারণে সন্দেহের জন্য ডেকে পাঠানো হবে, তা কমিশন আদৌ জানাবে কি না সেই বিষয়ে এখনও কোনও নিশয়তা নেই। অনেকেই মনে করছেন নোটিসে লেখা থাকবে কোন কারণে তাঁদের ডাকা হয়েছে।
এর আবার উল্টো একটা দিকও রয়েছে। অনেকেই বলছেন হয়তও নোটিসেও লেখা থাকবে না কেন ওই ব্যক্তিকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। আসলে এই বিষয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছুই জানায়নি নির্বাচন কমিশন। তবে এটা বলাই যায়, যে কারণেই আপনাকে হিয়ারিংয়ে ডাকুক কমিশন, আপনি বৈধ নথি জমা করলে আপনার কোনও অসুবিধাই হবে না। এসআইআরের ফাইনাল লিস্টে নাম চলে আসবে আপনার।