SIR in Bengal: তৃণমূলের বিধায়কের মা-ভাইকে SIR-র শুনানিতে ডাক, বিস্ফোরক অভিযোগ

Purba Bardhaman: নবীনচন্দ্র বাগের দাবি, ২০০২ সালের ভোটার তালিকা অনুযায়ী তাঁর মা নন্দরানি বাগের নাম খণ্ডঘোষ বিধানসভার ২৯ নম্বর বুথের ৪০৫ নম্বর সিরিয়ালে এবং তাঁর ভাই বিপিন বাগের নাম ৪০৬ নম্বর সিরিয়ালে স্পষ্টভাবে রয়েছে। এত পুরনো ভোটার তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও কেন কমিশনের তরফে নোটিস পাঠানো হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিধায়ক।

SIR in Bengal: তৃণমূলের বিধায়কের মা-ভাইকে SIR-র শুনানিতে ডাক, বিস্ফোরক অভিযোগ
খণ্ডঘোষের তৃণমূল বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Dec 26, 2025 | 9:40 AM

খণ্ডঘোষ: ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম ছিল। খসড়া ভোটার তালিকায়ও নাম রয়েছে। তারপরও এসআইআর প্রক্রিয়ায় শুনানির জন্য তলব করা হল খণ্ডঘোষের তৃণমূল বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগের মা, ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রীকে। নির্বাচন কমিশনের এই নোটিস ঘিরে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন খণ্ডঘোষের তৃণমূল বিধায়ক। মানসিকভাবে হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন। তৃণমূল বিধায়ক বলছেন, শুনানিতে ডেকে পাঠানোয় তাঁর মা আতঙ্কে রয়েছেন। পাল্টা তৃণমূল বিধায়ককে নিশানা করেছে বিজেপি।

২০১১ সাল থেকে খণ্ডঘোষের বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগ। ২০১১ সালে সিপিএম প্রার্থী হিসেবে জিতেছিলেন তিনি। ২০১৫ সালে তৃণমূলে যোগ দেন। এরপর ২০১৬ এবং ২০২১ সালে তৃণমূলের টিকিটে এই আসন থেকে জয়ী হন তিনি। নবীনচন্দ্র বাগের অভিযোগ, তিনি তৃণমূলের বিধায়ক হওয়াতেই বিজেপির চক্রান্তে নির্বাচন কমিশনকে কাজে লাগিয়ে তাঁর পরিবারকে মানসিকভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, অকারণেই শুনানিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁর মা নন্দরানি বাগ, ভাই বিপিন বাগ ও ভাইয়ের স্ত্রীকে।

রাজ্যে ৪ নভেম্বর থেকে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিএলও-রা এনুমারেশন ফর্ম বিলি করেন। গত ১৬ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের তরফে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। যাঁরা এনুমারেশন ফর্ম জমা দিয়েছেন কিন্তু যাঁদের ম্যাপিং সম্পূর্ণ হয়নি, তাঁদের নোটিস দিয়ে শুনানিতে ডেকে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নবীনচন্দ্র বাগের দাবি, ২০০২ সালের ভোটার তালিকা অনুযায়ী তাঁর মা নন্দরানি বাগের নাম খণ্ডঘোষ বিধানসভার ২৯ নম্বর বুথের ৪০৫ নম্বর সিরিয়ালে এবং তাঁর ভাই বিপিন বাগের নাম ৪০৬ নম্বর সিরিয়ালে স্পষ্টভাবে রয়েছে। এত পুরনো ভোটার তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও কেন কমিশনের তরফে নোটিস পাঠানো হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিধায়ক। বিজেপিকে তোপ দেগে নবীনচন্দ্র বাগ বলেন, “আমি তৃণমূলের বিধায়ক বলেই বিজেপি নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে আমার পরিবারকে মানসিক চাপের মধ্যে ফেলছে। নোটিস পাওয়ার পর আমার মা ভীষণ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।”

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে খণ্ডঘোষে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এই বিষয়ে বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, “উনি মিথ্যা কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছেন। নামের বানান নিয়ে কিছু সমস্যা থাকতে পারে। আমারও নামের বানানে ভুল থাকার জন্য এই ধরনের সমস্যা আছে। বাংলার মানুষকে বিভ্রান্ত করে মিথ্যা বলে একুশে তৃণমূল ক্ষমতায় এসেছে। উনি বুঝেছেন বিজেপি যেভাবে বাংলা থেকে অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াচ্ছে, তাতে আগামিদিনে বিজেপি ক্ষমতায় আসছে। তাই বাঙালি আবেগকে কাজে লাগাতে এই ধরনের মিথ্যা কথা বলছেন। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হবে না।”