
বীরভূম: দুই পুত্র ও মেয়েকে এসআইআর-এ হিয়ারিংয়ে ডাকা হয়েছে। সেই আতঙ্কেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যুর অভিযোগ উঠল বীরভূমের সাঁইথিয়ায়। মৃতের নাম মালেক শেখ। দীর্ঘদিন ধরে তিনি উত্তর প্রদেশের বারাণসীকে কাজ করতেন। সেখানকার ভোটার তালিকায়ও তাঁর নাম রয়েছে। বাংলায় ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম নেই। হিয়ারিংয়ে সন্তানদের ডেকে পাঠানোর পর থেকেই তিনি আতঙ্কে ছিলেন বলে পরিবারের দাবি।
মালেক শেখের বাড়ি সাঁইথিয়া থানার দক্ষিণ সৃজা গ্রামে। তাঁর পরিবারের বক্তব্য, সংসার চালাতে দীর্ঘদিন আগে বারাণসীতে যান মালেক। ২০১৫ সালে সেখানে ভোটার কার্ডও হয়। বাংলার পাশাপাশি উত্তর প্রদেশেও এসআইআর হচ্ছে। কিন্তু, তাঁর নাম তোলা হয়নি বলে পরিবারের অভিযোগ। এদিকে, বাংলাতেও ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম নেই। কয়েকদিন আগে বাড়ি ফেরেন তিনি।
মালেক শেখের দুই ছেলে জরিফ শেখ , সরিফ শেখ এবং মেয়ে মকিনা বিবি বীরভূমে SIR-এর ফর্ম ফিলাপ করেন। কিন্তু তাঁদের নিজের, বাবা কিংবা কোনও আত্মীয়ের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম নেই। তাঁদের তিনজনের নামে হিয়ারিংয়ের নোটিস আসে। মকিনা বিবি বলেন, “আমাদের নামে হিয়ারিংয়ের নোটিস আসার পর থেকেই বাবা চিন্তায় ছিলেন। সন্তানদের কী হবে, শুধু সেই কথা বলতেন।” তারপরই বৃহস্পতিবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মালেক শেখের মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ, এসআইআর আতঙ্কেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন বছর সাতষট্টির মালেক। মৃতের এক আত্মীয় অভিযোগ করেন, মালেক শেখের মৃত্যুর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ও এসআইআর দায়ী।