
নদিয়া: বিধানসভা নির্বাচনের আর মাস পাঁচেকও বাকি নেই। এসআইআর আবহে বেশ কয়েকটি জায়গায় সভা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার বাংলায় সভা করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার নদিয়ার তাহেরপুরে তিনি সভা করবেন। বিজেপির সেই সভার জন্য তাহেরপুরকে গেরুয়া পতাকা দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে। একইসঙ্গে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিন সকাল থেকে দেখা গেল, পুলিশ কুকুর নিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আগামিকাল (শনিবার) সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ নয়াদিল্লি থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌছবেন মোদী। তারপর হেলিকপ্টারে তাহেরপুরে যাবেন। তাহেরপুরে নেতাজি পার্কের মাঠে সভা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। তাহেরপুর থানার মাঠে ৩টি হেলিপ্যাড করা হয়েছে। সকাল ১১ টা ১০ মিনিট নাগাদ সেখানে পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী। হেলিপ্যাড থেকে গাড়িতে সভাস্থলে আসবেন মোদী।
হেলিপ্যাড থেকে সভাস্থলের দূরত্ব প্রায় ১ কিলোমিটার। ওই রাস্তায় মানুষের ঢল নামবে বলে আশাবাদী বিজেপি। রাস্তায় ২ ধারে এখন শুধুই গেরুয়া পতাকা। প্রধানমন্ত্রীর সফরের জন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাঠের পাশে প্রতিটি বাড়ির ছাদে মোতায়ন থাকছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। হেলিপ্যাড থেকে গাড়িতে আসবেন মোদী। সেই কারণে বাঁশের ব্যারিকেট দিয়ে ঘেরা থাকছে রাস্তা। মোতায়ন করা হয়েছে রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী। রয়েছে কয়েকশো সিসিটিভি। মোতায়েন করা হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার, রাজ্য পুলিশ ও মহিলা পুলিশ-সহ সাদা পোশাকের পুলিশ। মাঠে ঢোকার আটটি গলিতে ব্যারিকেড করা হয়েছে।
কী অনুষ্ঠান রয়েছে মোদীর?
মাঠে দুটি মঞ্চ করা হয়েছে। একটি সরকারি মঞ্চ। আর একটা রাজনৈতিক মঞ্চ। সরকারি মঞ্চ থেকে একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর অন্য মঞ্চ থেকে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বার্তা দেবেন। ওই মাঠে দেড় লক্ষ মানুষের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। উদ্যোক্তারা মনে করছেন, বহু মানুষ বাইরে দাঁড়িয়ে জায়ান্ট স্ক্রিনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনবেন। সবমিলিয়ে প্রায় ঘণ্টা দেড়েক তাহেরপুরে থাকবেন মোদী। সভা শেষে গাড়ি করে সভাস্থলে থেকে আবার হেলিপ্যাড যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছবেন। রওনা দেবেন অসমের গুয়াহাটিতে।
তাহেরপুরের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী কী বার্তা দেবেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। এসআইআর আবহে মতুয়াদের একটা বড় অংশে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। রাজনৈতিক কারবারিরা বলছেন, সেদিক থেকে তাহেরপুরকে বেছে নেওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। এখানে নমঃশূদ্র মতুয়া মানুষের সংখ্যা বেশি। নদিয়ার বৃহৎ অংশ রয়েছে সীমান্তবর্তী এলাকা। এই সীমান্তবর্তী এলাকায় ওপার বাংলা থেকে আসা মানুষ বসবাস করেন। তাঁদের সিএএ-তে আবেদন নিয়ে বার্তা দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।