
প্রকাশ হয়ে গিয়েছে এসআইআরের খসড়া তালিকা। এই তালিকা থেকে ইতিমধ্যেই বাদ পড়েছে ৫৮ লক্ষ নাম। এর মধ্যে যেমন রয়েছেন মৃত ভোটার, তেমন রয়েছেন স্থানান্তরিত ভোটারও। এ ছাড়াও এমন ভোটারও রয়েছে এখানে যাঁদের সব ঠিক থাকা সত্ত্বেও কোনও কারণে বাদ গিয়েছে নাম। তাঁদের ডাক পড়বে হিয়ারিংয়ে। এ ছাড়াও যাঁদের নাম ড্রাফট লিস্টে রয়েছে, তাঁদেরও চিন্তা কম কিছু নয়। কারণ, কমিশন সূত্রে খবর ড্রাফট লিস্টে নাম থাকলেও আপনাকে ডেকে পাঠাতে পারে কমিশন।
আপনি কম্পিউটার বা মোবাইলের ব্রাউজারে গিয়ে দেখুন নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট https://electoralsearch.eci.gov.in/। আর যাঁদের নাম খসড়া তালিকায় নেই তাঁদের নাম দেখতে গেলে আপনাকে যেতে হবে https://ceowestbengal.wb.gov.in/asd_sir ওয়েবসাইটে।
কমিশন জানিয়েছে আপনার নাম যদি তালিকায় না থাকে তাহলে আপনাকে অনলাইনে বা অফলাইনে ফর্ম ৬ পূরণ করতে হবে। জন্মের প্রমাণ সংক্রান্ত নথিও জমা করতে হবে। ফর্ম ৬-এ আবেদনের পর আপনাকে শুনানিতে ডাকবে কমিশন। শুনানিতে নাগরিকত্বের প্রামাণ্য নথি জমা করতে হবে। কমিশনের উল্লেখিত, ১১টি নথির মধ্যে ১টি নথি দেখাতে হবে। তাহলেই আপনার তালিকায় নাম উঠে যাবে। অর্থাৎ ভারতের নাগরিক হলে, আর তার যথার্থ প্রামাণ্যপত্র থাকলে, শুনানির পরই তালিকায় নাম উঠে যাবে।
ফর্ম ৬ জমা দেওয়ার পর শুনানিতে ডাকলে জন্মের প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। কমিশন জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হিসেবে ভোটার নিজেকে প্রমাণ করতে পারলেই নাম তালিকায় তুলে দেওয়া হবে।
ইলেকশন কমিশন বলছে এমন কিছু যদি হয়, তাহলে সবার আগে আপনাকে ফর্ম ৮ ফিলআপ করতে হবে। ইলেকশন কমিশনের ওয়েবসাইটে আপনি ফর্ম ৮ পেয়ে যাবেন। ওয়েব ব্রাউজারে গিয়ে আপনি ফর্ম ৮ লিখে সার্চ করলেই পিডিএফ চলে আসবে আপনার সামনে। এ ছাড়াও আপনি ইলেকশন কমিশনের ওয়েবসাইটে লগইন করে অনলাইনেও ফর্ম ৮ ফিলআপ করতে পারেন। এমনকি আপনার বিএলও-র কাছ থেকেও আপনি এই ফর্ম ৮ সংগ্রহ করতে পারবেন।
আপনার যদি নাম না থাকে, তাহলে তো আপনাকে ডেকে পাঠাবে কমিশন। কিন্তু আপনাকে যেতে হবে কোথায়? জানা যাচ্ছে, আপনার এলাকার ইআরও বা এইআরওর অফিসে যেতে হবে আপনাকে।
আপনার যদি খসড়া তালিকায় নাম না আসে তাহলে আপনাকে নোটিস আকারে সমন পাঠাবে ইলেকশন কমিশন। আর সেই নোটিস নিয়ে আপনার কাছে আসবেন বিএলওরা। অর্থাৎ, আপনার বিএলওই আপনাকে জানাবে আপনাকে কোথায় যেতে হবে হিয়ারিংয়ের জন্য।
যাঁদের হিয়ারিংয়ে ডাকা হবে তাঁদের অনেকেই হয়ত সুস্থ বা বাইরের কোনও রাজ্যে বা শহরে কাজ করেন। অথবা ওই দিনই কারও খুব জরুরি একটা কাজ পড়ে গিয়েছে। এমন অবস্থায় কী হবে? কমিশন কি কিছু জানিয়েছে যেখানে এই সব কারণে সাধারণ মানুষ ভার্চুয়ালি শুনানিতে যোগ দিতে পারবেন?
কমিশন এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কিছুই বলেনি। তবে এটাও ঠিক যে সাধারণ শুনানি শুরু হতে অন্তত ৭ দিন লাগবে। ফলে, এর মধ্যে এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতেই পারে ইলেকশন কমিশন।
কমিশন সূত্রে খবর যাঁদের নাম ড্রাফট তালিকায় রয়েছে তাঁদের যদি কমিশন সন্দেহ করে, তাহলেই তাঁদের ডেকে পাঠাবে হিয়ারিংয়ের জন্য। আর সেই ব্যক্তিদের ঠিক কোন তথ্যের গরমিলের জন্য বা কোন কারণে সন্দেহের জন্য ডেকে পাঠানো হবে, তা কমিশন আদৌ জানাবে কি না সেই বিষয়ে এখনও কোনও নিশয়তা নেই।
এখনও ইলেকশন কমিশন এই বিষয়ে কিছু স্পষ্ট করে না বললেও জানা গিয়েছে, আগামী ৭ দিন নোটিস পাঠাবে কমিশন, তারপর শুরু হবে হিয়ারিং।