SIR in Bengal: শুনানি শুরুর দিনই সিইও অফিসে চন্দ্রিমারা, কী বললেন?

TMC: এদিন ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মানস ভুঁইয়া, মলয় ঘটক, অরুপ বিশ্বাস ও শশী পাঁজা।জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল সিইও দফতরে এসে এসআইআর প্রক্রিয়া সরলীকরণের দাবি জানিয়েছিল। হিয়ারিং পর্বে সাধারণ ভোটাররা যাতে আতঙ্কিত হয়ে না পড়েন, সেই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার কথা বলেছিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। এদিন রাজ্যজুড়ে হিয়ারিং শুরুর পর সিইও দফতরে আসেন চন্দ্রিমারা।

SIR in Bengal: শুনানি শুরুর দিনই সিইও অফিসে চন্দ্রিমারা, কী বললেন?
সিইও দফতরে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Dec 27, 2025 | 8:33 PM

কলকাতা: শনিবার থেকে শুরু হয়েছে এসআইআর প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় পর্ব। আর শুনানি শুরুর দিনই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (CEO) দফতরে গেল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। রাজ্যের শাসকদলের ৫ নেতা-নেত্রী এদিন সিইও দফতরে গিয়ে একাধিক অভিযোগ জানান। অভিযোগ জানিয়ে চিঠিও দেন। সেই চিঠি কমিশনের কাছে পাঠানো হবে বলে CEO দফতরের তরফে তাদের জানানো হয়েছে বলে জানাল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। এদিন সিইও দফতর থেকে বেরিয়ে একাধিক অভিযোগ তুলে সরব হলেন রাজ্যের শাসকদলের প্রতিনিধিরা।  

এদিন ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মানস ভুঁইয়া, মলয় ঘটক, অরুপ বিশ্বাস ও শশী পাঁজা।জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল সিইও দফতরে এসে এসআইআর প্রক্রিয়া সরলীকরণের দাবি জানিয়েছিল। হিয়ারিং পর্বে সাধারণ ভোটাররা যাতে আতঙ্কিত হয়ে না পড়েন, সেই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার কথা বলেছিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। এদিন রাজ্যজুড়ে হিয়ারিং শুরুর পর সিইও দফতরে আসেন চন্দ্রিমারা।

সিইও দফতর থেকে বেরিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ করেন চন্দ্রিমারা। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা বলেন, “মানুষের সুবিধার দিকে নজর রেখে এসআইআর প্রক্রিয়ার কাজ করতে হবে। কিন্তু, বাংলার ক্ষেত্রে তা মানা হচ্ছে না। যে রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আছে, সেখানে যেভাবে কাজ হচ্ছে, বাংলায় সেভাবে কাজ হচ্ছে না।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, বাংলায় ERO-দের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। যা অবৈধ। তাঁরা তা মেনে নেবেন না বলে জানিয়ে দেন। নির্বাচন কমিশন বিজেপির কথা শুনে কাজ করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। অরূপ বিশ্বাসও বলেন, “বিজেপি যা বলছে, কমিশন তাই কাজ করছে। নির্বাচন কমিশন বিজেপির বি টিম হিসাবে কাজ করছে। নির্বাচনী কার্যালয় এখন বিজেপির অফিস। বারবার কেন্দ্রীয় সরকার ভোটার ঠিক করে দিচ্ছে।” ৫৫ লক্ষের নাম পাবলিক ডোমেনে আনা হচ্ছে না কেন, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। অরূপ বিশ্বাস বলেন, “একটা বৈধ ভোটারের নাম আমরা কাটতে দেব না।” মানস ভুঁইয়া অভিযোগ করেন, তৃণমূল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে ক্ষমতায় আছে বলে এসব হচ্ছে। হিয়ারিংয়ে বয়স্ক মানুষদের ডেকে হয়রানির অভিযোগও তোলে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।