Amit Shah On Matua: ভোট কি দিতে পারবেন? বাংলায় এসে মতুয়াদের জন্য বড় বার্তা দিয়ে গেলেন শাহ

Amit Shah: এতদিন পর্যন্ত সেই সার্টিফিকেট তাঁরা নির্বাচন কনিশনে প্রামাণ্য নথি হিসাবে দেখাতে পারবেন কিনা, সেটা নিয়েও দোলাচলে ছিলেন। কমিশন অবশ্য স্পষ্ট করেছে, এই নথি দেখানো যাবে। এরপর ফর্ম ৬ ফিল আপ করে তাঁরা নতুন করে নামও তুলতে পারবেন। এই প্রেক্ষিতে এখন বঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।

Amit Shah On Matua: ভোট কি দিতে পারবেন? বাংলায় এসে মতুয়াদের জন্য বড় বার্তা দিয়ে গেলেন শাহ
মতুয়াদের উদ্দেশে বড় বার্তা শাহরImage Credit source: TV9 Bangla

Dec 30, 2025 | 2:32 PM

কলকাতা: এসআইআর আবহে বঙ্গ রাজনীতিতে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছেন মতুয়ারা। সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ভোটাধিকার পাওয়ার আগে তাঁদের ভারতের নাগরিক হতে হবে। আর এই দোলাচলের মধ্যে রয়েছেন মতুয়ারা। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর আশ্বাসে মতুয়ারা CAA-তে আবেদন করেছেন, তাঁদের অনেকের কাছে নাগরিকত্বের সার্টিফিকেটও আসছে। এতদিন পর্যন্ত সেই সার্টিফিকেট তাঁরা নির্বাচন কনিশনে প্রামাণ্য নথি হিসাবে দেখাতে পারবেন কিনা, সেটা নিয়েও দোলাচলে ছিলেন। কমিশন অবশ্য স্পষ্ট করেছে, এই নথি দেখানো যাবে। এরপর ফর্ম ৬ ফিল আপ করে তাঁরা নতুন করে নামও তুলতে পারবেন। এই প্রেক্ষিতে এখন বঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।

কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তর পর্বে উঠে আসে মতুয়া-প্রসঙ্গ। অমিত শাহ আশ্বস্ত করলেন, “বাংলাদেশ থেকে আসা শরণার্থীদের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। কেউ কিছু করতে পারবে না। স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও মতুয়াদের জন্য কিছু করতে পারবেন না। মতুয়াদের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই।”

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চ জানিয়ে দেয়,  নাগরিকত্বের আবেদন করলেই ভোটার লিস্টে নাম তোলা যাবে না। অর্থাৎ প্রথমে নাগরিক হতে হবে, তারপরই তাঁরা ভোটাধিকার পাবেন। পশ্চিমবঙ্গে মতুয়া সম্প্রদায়ের মোট জনসংখ্যা আড়াই থেকে পৌনে তিন কোটি।  ২০০৯ সাল থেকে  মতুয়ারা তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক বলেই পরিচিত ছিলেন। ‘বড়মা’র কাছে যাতায়াত ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তারপর অবশ্য ঠাকুরবাড়ি দ্বিধাবিভক্ত হয়। শান্তনু-সুব্রত বনাম মমতাবালা, ঠাকুরবাড়িতে সমান্তরাল দুটো শক্তি তৈরি হয়।

‘অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘ’-এর সঙ্ঘাধিপতি তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের হিসাব অনুযায়ী, রাজ্যের ১০০টি বিধানসভা আসনে মতুয়া ভোটারদের ‘উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি’ রয়েছে। তার মধ্যে ২১টি আসনে মতুয়া ভোটই সংখ্যাগরিষ্ঠ। এবারে বিজেপি, তৃণমূল, কংগ্রেস সব নেমে পড়েছেন ময়দানে। মতুয়াদের নাগরিকত্ব পাওয়া নিয়ে রাজনীতির আকচা-আকচি বঙ্গ রাজনীতির একটা প্রাসঙ্গিক টপিক! কিছুদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বঙ্গ সফরে এসেছিলেন। ফিরে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, “আমি নিশ্চিত করছি, প্রত্যেক মতুয়া ও নমঃশুদ্র পরিবারের পাশে আমরা থাকব। তাঁরা তৃণমূলের দয়ায় নেই। মর্যাদার সঙ্গে মতুয়াদের ভারতে থাকার অধিকার আছে। আমাদের সরকার CAA এনেছে। BJP বাংলায় ক্ষমতায় এলে মতুয়া ও নমঃশুদ্রদের জন্য আরও অনেক কিছু করবে।” সেই প্রেক্ষিতে আরও একবার শাহর এই আশ্বাসবাণী, ‘মতুয়াদের কোনও চিন্তার কারণ নেই।’