আসানসোল: পুরভোটের ফল প্রকাশের আগের দিনই স্ট্রং রুমে বিপত্তি। রবিবার রাতে এক ঘন্টা ধরে আসানসোল ধাদকা পোলেটেকনিক কলেজে স্ট্রং রুমে বন্ধ হয়ে যায় সিসি ক্যামেরা। ১২৮২ টি ইভিএম রয়েছে সেখানে। রাতে হঠাৎ করে সমস্ত সিসি ক্যামেরা বন্ধ হয়ে যায়। ঘণ্টা খানেকেরও বেশি সময় ধরে চলে বিপর্যয়। রহস্যজনক এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিরোধী সমস্ত প্রার্থীরা। প্রিভিউ রেকর্ড দেখার দাবি ওঠে। মহকুমা রিটার্নিং অফিসারের কাছে উপযুক্ত জবাব না পেয়ে প্রার্থী ও বিরোধীদের ক্ষোভ বিক্ষোভ বাড়তে থাকে। লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
শেষ পর্যন্ত ঘটনাস্থলে আসেন মিউনিসিপ্যাল রিটার্নিং অফিসার তথা মহকুমা শাসক অভিজ্ঞান পাঞ্জা। এডিএম ইলেকশন ও আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি। বিরোধীদের তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, “সকালে স্ট্রং রুমের ভেতর সবাইকে দেখানো হবে সিসি ক্যামেরা কোন টেকনিক্যাল কারণে এক ঘণ্টা বন্ধ ছিল।” বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
বিরোধী প্রার্থী বলছেন, “এক ঘণ্টা সিসিক্যামেরা বন্ধ ছিল। এই অবস্থায় কাউন্টিং করাটা তো অসম্ভব। সিসিটিভি কীভাবে বন্ধ হয়? সবাইকে সাসপেন্ড করা উচিত। নির্বাচনের সময়ে এক ঘণ্টা ফুটেজ বন্ধ থাকবে, এটা কখনও হতে পারে না। এটা নির্বাচনের সময় প্রথম ঘটল। প্রশাসনিক ব্যর্থতার দায় কে স্বীকার করবে?”
আরও এক বিরোধী প্রার্থীর বক্তব্য, “যিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন, সেদিনই সার্টিফিকেটটা ইস্যু করে দিতেন। যে তৃণমূল কংগ্রেসের যত প্রার্থী সবাই জিতে গিয়েছেন। ১০৬ এর মধ্যে ১০৬ হয়ে গেল। এত নোংরামি করার কী ছিল। সাধারণ মানুষ সব দেখছে। সাধারণ মানুষ লোকসভায় জবাব দেবে।” বিরোধী প্রার্থীরা স্ট্রং রুমের গেটের বাইরে বিক্ষোভ দেখান। প্রশ্ন তোলেন নির্বাচন করানোর দরকারটা কী? আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের তরফে মাইকিং করে বিরোধী প্রার্থীদের শান্তি বজায় রাখার আবেদন করা হয়।