কলকাতা : খাস কলকাতায় ভোটের সকালে পরপর বোমা পড়ল রবিবার। ভোট চলাকালীন কলকাতা পুরনিগমের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে বোমাবাজির ঘটনা ঘটল। এ দিন সকাল থেকেই ওই ওয়ার্ডের পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল। কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের বচসার ঘটনা সামনে আসে। তবে বেলা বাড়তেই আরও উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। শিয়ালদহে টাকি বয়েজ স্কুলের সামনে বোমা ফেলে পালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় জখম হন এক পথচারী।
৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে অর্থাৎ শিয়ালদহে টাকি বয়েজ স্কুলে চলছে ভোট গ্রহণ। আর সেই স্কুলের অদূরেই এ দিন পরপর দুটি বোমা ফেলে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। বোমার আঘাতে আহত হন এক ব্যক্তি। তিনি কেনাকাটা করতে রাস্তা বেরিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। তাঁর পায়ে বোমার আঘাত লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই বোমা কারা ফেলল, এর পিছনে কোন রাজনৈতিক দলের হাত রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে তৃণমূলের অভিযোগ দুষ্কৃতীরা আদতে কংগ্রেস প্রার্থীর লোক।
এ দিন সকাল থেকেই কংগ্রেস প্রার্থী নন্দন ঘোষ দাবি করেন, তাঁদের এজেন্টকে বুথে বসতে দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের এজেন্টকে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। এরপর বেলা বাড়তেই বোমাবাজি পর্যন্ত গড়ায় সেই উত্তেজনা।
তৃণমূল কর্মীদের দাবি, কংগ্রেস প্রার্থী নন্দন ঘোষের অনুগামীরাই বোমা ফেলেছে। ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতেই এই কাজ করা হয়েছে বলে দাবি তৃণমূল কর্মীদের। এই ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই খান্না হাই স্কুলেরও বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। শিয়ালদহের বোমাবাজির ঘটনার পরই ডিসি ইএসডির নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী। পুলিশ জানিয়েছে, ১০০ মিটারের বাইরেই ঘটনাটি ঘটেছে। ভোট গ্রহণ বন্ধ হয়নি বলেও দাবি ডিসি ইএসডির। তিনি জানান, ঘটনাস্থলে যথেষ্ট পুলিশ রয়েছে, ভোটারদেরও আশ্বস্ত করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দুষ্কৃতীদের সঙ্গে কোন রাজনৈতিক দলের যোগ রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে দাবি পুলিশের। এই এলাকায় শুরু হয়েছে রুট মার্চ। আর কোথাও কোনও বোমা মজুদ করা আছে কি না, তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।