হুগলি: পাশাপাশি দু’টি ওয়ার্ড। স্বামী-স্ত্রীকে সেই দুই ওয়ার্ডে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর নতুন বছরের প্রথম দিন এলাকার বিভিন্ন মন্দিরে পুজো দিয়ে তাঁরা প্রচার শুরু করলেন। চন্দননগর পুরনিগমের ১২ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে দেখা গেল সেই ছবি।
তৃণমূল পুরভোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতেই বিভিন্ন জায়গায় ক্ষোভ বিক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই চন্দননগর পুরনিগমের একাধিক ওয়ার্ডে প্রার্থী বদলের দাবি উঠেছে। এরই মধ্যে ১২ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হয়েছে ঋতুপর্ণা সাউ ও শুভজিৎ সাউকে। তাঁরা দম্পতি। শুধু তাই নয়, আরও একটি রাজনৈতিক পরিচয় রয়েছে এই দু’জনের। চন্দননগরের প্রাক্তন বিধায়ক অশোক সাউয়ের ছেলে ও ছেলের বউ তাঁরা।
শনিবার সকালে বছরের প্রথম দিন এলাকার বজরংবলী মন্দির, শিব মন্দির ও আদি জগদ্ধাত্রী মা চাউলপট্টিতে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করলেন সাউ দম্পতি। শুভজিৎ সাউ গত পুর নির্বাচনে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের কাউন্সিলর ছিলেন। এবার তাঁর ওয়ার্ড বদল হয়েছে। দল শুভজিৎ সাউকে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে টিকিট দিয়েছে। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন সমীর গুহ মল্লিক (কালুয়া)।
ইতিমধ্যেই একই পরিবারের দু’জনকে প্রার্থী করা নিয়ে বিরোধীরা নানা প্রশ্ন উস্কে দিচ্ছে। বার বারই বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ আনে। যদিও সেসব মোটে পাত্তা দিতে চাইছেন না শুভজিৎ সাউ। বরং তিনি জয়ের ব্যাপারে তো নিশ্চিতই। স্ত্রীর জয় নিয়েও যথেষ্ট আশাবাদী।
শুভজিৎ সাউয়ের কথায়, “দল আমাদের যোগ্য প্রার্থী মনে করেছে, তাই প্রার্থী করেছে। আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা ৩৬৫ দিন মানুষের পাশে থাকি, মানুষের জন্য কাজ করি। তার স্বীকৃতি দল আমাদের দিয়েছে। দল এত বড় দায়িত্ব দিয়েছে, আমাদের বিশ্বাস দু’টি ওয়ার্ডেই আমরা দলকে জেতাব। আগে আমি ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছি। মানুষের সমর্থনও পেয়েছি। এবার দল আমাকে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করেছে। আমি আনন্দের সঙ্গেই দলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। এবারও আমরা বিপুল ভোটে জিতব।”
তবে ওয়ার্ডের বিরোধী মুখদেরও একেবারে ফুৎকারে উড়িয়ে দিতে নারাজ শুভজিৎ সাউ। তাঁর কথায়, “বিরোধীদের অপ্রাসঙ্গিক বলব না। তবে মানুষের রায় আগেও যেমন তৃণমূলের দিকে ছিল, এবারও তৃণমূলের দিকেই যাবে। এর কোনও ব্যাতীক্রম হবে না। যে ওয়ার্ডে আমার স্ত্রী প্রার্থী হয়েছে, সেই ওয়ার্ডে ১৯৮১ সাল থেকে আমার বাবা ছিলেন। পাঁচবার জিতেছেন। আমার মা একবার জিতেছেন। ঋতুপর্ণা একবার জিতেছে প্রায় ৪০ বছর ধরে এই ওয়ার্ডটায় মানুষ আমাদের আশীর্বাদ করে এসেছে। তাই দলও মনে করেছে এই ওয়ার্ড আমার স্ত্রীকে দেওয়া যায়।”
এর আগে চন্দননগরে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী মৌমিতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে পছন্দ নয় বলে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান দলের কর্মীরা। ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডেও এক ছবি দেখা যায়। এই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী সীমা রায় চৌধুরীকে কেউ চেনেন না বলে দাবি ওঠে। প্রার্থী বদল করার কথাও বলেন বিক্ষুব্ধরা।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে বাড়ছে সংক্রমণ! এবার করোনা আক্রান্ত চিত্তরঞ্জন ন্যাশনালের অধ্যক্ষ